শিবগঞ্জে বেতন পাচ্ছেন না ১ শ প্রাইমারী শিক্ষক > নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের নামে চলছে দূর্নীতি
শিবগঞ্জ উপজেলায় ২৫বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১শ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সূত্রমতে ২০১৩সালে জানুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ২শ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করনের ঘোষনা দেয়ার পর পর্যায় ক্রমে শিবগঞ্জে প্রথম ধাপে ১০৮টি বিদ্যালয় জাতীয়করন হয়ে শিক্ষকরা বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারলেও দ্বিতীয় ধাপে ৮ এবং তৃতীয় ধাপে আরো ১৭টি বিদ্যালয় ঝুলনত্ম অবস'ায় থাকায় ১শ জন শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন না।
সূত্র মতে দ্বিতীয় ধাপের ৮টি বিদ্যালয়ের গেজেট হলেও শিক্ষক গেজেট এখনপর্যনত্ম না হওয়ায় তারা একদিকে যেমন কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। ৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ বিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর প্রধান শিক্ষক তরিকুল আলম জানান, জনৈক শিক্ষক নেতা আমার কাছে ১ লাখ ২০হাজার চেয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় এখন পর্যনত্ম ঐ শিক্ষক নেতা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে এবং আমাদের বিদ্যালয়টির নামে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো জানান ঐ শিক্ষক নেতা মাত্র কয়েক বছর আগে টিউশনী করে সংসার চালাতেন, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ১৭বিদ্যালয়ের মধ্যে বেশীর ভাগই সরকার সমর্থিত শিক্ষক নেতাদের উদ্যোগে ব্যাক ডেট দিয়ে জমির দলিল করে এমনকি জাল দলিলের করে রাতারাতি বিদ্যালয় তৈরী করা হয়েছে বলে সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয় অধ্যূষিত এলাকার স'ানীয়রা জানান। কয়েকটি গোপন সূত্রে জানা গেছে প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষক নেতারা ৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষকনেতারা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রায় বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়া অব্যাহত রেখেছে। রানীনগরের নাজির উদ্দিন জানান আমার কাছে এলাকার জনৈক শিক্ষক নেতা ও দালালরা মনাকষা ইউনিয়নাধীন রাঘববাটী মৌজায় হঠাৎ একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেবার জন্য ৬ লাখ দাবী করে বসলে আমি তা প্রত্যাখান করি। যেহেতু আমি জানি ঐ মৌজার জমি স্কিতি থাকায় কোন দলিল হচেছ না বহুদিন যাবত, সেহেতু কিভাবে সেখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে পারে। তিনি আরো জানান এভাবে কিছূ অবুঝ বেকারযুবককে তারা ঠকাচ্ছে যা সম্পূর্ন অমানবিক এবং এর প্রতিকার হওয়া উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাতারাতি তৈরী করা একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান শিক্ষকনেতার বিভিন্ন অজুহাতে অর্থাৎ উপজেলা শিক্ষা অফিসার থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যনত্ম বিভিন্ন অফিসারকে খুশী রাখার নামে কয়েক দফা টাকা দিলেও এখন পর্যনত্ম আমাদেরকে কোন কাগজপত্র দেখাচ্ছে না।বরং আমাদের কাছেই ফাঁকাা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর করে নিয়েছে। তিনি আরো জানান এখন পর্যনত্ম আমাদের কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে জনৈক শিক্ষক নেতা বলেন মাত্র ৫বা ৬ লাখ টাকায় একজন বেকারের চাকুরী হবে এটা অনেক বড় সুযোগ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেহেতু আমরা যাদেরকে টাকা দিচ্ছি তারা কোন দায় দায়িত্ব নিচ্ছে না, সেহেতু আমরাও কোন দায়দায়িত্ব নিতে পারবো না।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আঃ সাত্তার সরকার বলেন বর্তমানে কোন নতুন বিদ্যালয় গ্রহণ যোগ্য নয়। পূর্বের তালিকাভুক্ত ছাড়া কেউ কোন বিদ্যালয় স'াপিত করলেও কোন লাভ হবে না। তিনি আরো জানান এখন থেকে কোন গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সরকার নিজেই পদক্ষেপ নিবেন। @ সফিকুল ইসলাম সফিক
সূত্রমতে ২০১৩সালে জানুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ২শ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করনের ঘোষনা দেয়ার পর পর্যায় ক্রমে শিবগঞ্জে প্রথম ধাপে ১০৮টি বিদ্যালয় জাতীয়করন হয়ে শিক্ষকরা বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারলেও দ্বিতীয় ধাপে ৮ এবং তৃতীয় ধাপে আরো ১৭টি বিদ্যালয় ঝুলনত্ম অবস'ায় থাকায় ১শ জন শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন না।
সূত্র মতে দ্বিতীয় ধাপের ৮টি বিদ্যালয়ের গেজেট হলেও শিক্ষক গেজেট এখনপর্যনত্ম না হওয়ায় তারা একদিকে যেমন কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। ৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ বিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর প্রধান শিক্ষক তরিকুল আলম জানান, জনৈক শিক্ষক নেতা আমার কাছে ১ লাখ ২০হাজার চেয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় এখন পর্যনত্ম ঐ শিক্ষক নেতা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে এবং আমাদের বিদ্যালয়টির নামে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো জানান ঐ শিক্ষক নেতা মাত্র কয়েক বছর আগে টিউশনী করে সংসার চালাতেন, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ১৭বিদ্যালয়ের মধ্যে বেশীর ভাগই সরকার সমর্থিত শিক্ষক নেতাদের উদ্যোগে ব্যাক ডেট দিয়ে জমির দলিল করে এমনকি জাল দলিলের করে রাতারাতি বিদ্যালয় তৈরী করা হয়েছে বলে সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয় অধ্যূষিত এলাকার স'ানীয়রা জানান। কয়েকটি গোপন সূত্রে জানা গেছে প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষক নেতারা ৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষকনেতারা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রায় বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়া অব্যাহত রেখেছে। রানীনগরের নাজির উদ্দিন জানান আমার কাছে এলাকার জনৈক শিক্ষক নেতা ও দালালরা মনাকষা ইউনিয়নাধীন রাঘববাটী মৌজায় হঠাৎ একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেবার জন্য ৬ লাখ দাবী করে বসলে আমি তা প্রত্যাখান করি। যেহেতু আমি জানি ঐ মৌজার জমি স্কিতি থাকায় কোন দলিল হচেছ না বহুদিন যাবত, সেহেতু কিভাবে সেখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে পারে। তিনি আরো জানান এভাবে কিছূ অবুঝ বেকারযুবককে তারা ঠকাচ্ছে যা সম্পূর্ন অমানবিক এবং এর প্রতিকার হওয়া উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাতারাতি তৈরী করা একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান শিক্ষকনেতার বিভিন্ন অজুহাতে অর্থাৎ উপজেলা শিক্ষা অফিসার থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যনত্ম বিভিন্ন অফিসারকে খুশী রাখার নামে কয়েক দফা টাকা দিলেও এখন পর্যনত্ম আমাদেরকে কোন কাগজপত্র দেখাচ্ছে না।বরং আমাদের কাছেই ফাঁকাা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর করে নিয়েছে। তিনি আরো জানান এখন পর্যনত্ম আমাদের কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে জনৈক শিক্ষক নেতা বলেন মাত্র ৫বা ৬ লাখ টাকায় একজন বেকারের চাকুরী হবে এটা অনেক বড় সুযোগ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেহেতু আমরা যাদেরকে টাকা দিচ্ছি তারা কোন দায় দায়িত্ব নিচ্ছে না, সেহেতু আমরাও কোন দায়দায়িত্ব নিতে পারবো না।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আঃ সাত্তার সরকার বলেন বর্তমানে কোন নতুন বিদ্যালয় গ্রহণ যোগ্য নয়। পূর্বের তালিকাভুক্ত ছাড়া কেউ কোন বিদ্যালয় স'াপিত করলেও কোন লাভ হবে না। তিনি আরো জানান এখন থেকে কোন গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সরকার নিজেই পদক্ষেপ নিবেন। @ সফিকুল ইসলাম সফিক