সাংবাদিক কামালের সঙ্গে ওসি জসিম উদ্দীনের অসদাচরণের অভিযোগ ॥ তোলপাড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেলষ্টেশন এলাকা থেকে এক যুবককে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈশাখী টেলিভিশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি কামাল উদ্দীনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দীনের সঙ্গে সেল ফোনে তুমুল কথাকাটাকাটি ও অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওসি’র অশালীন আচারণের অভিযোগের কথা উলেস্নখ করে ওসি জসিম উদ্দীনকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপার বশির আহম্মদের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেন।
মঙ্গলবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল শহরের উদয়ন মোড় সংলগ্ন রেলষ্টেশন মার্কেট থেকে ব্যবসাগত আর্থিক লেনদেন ও মারধোরের অভিযোগে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মারধোর করার অভিযোগে আটক ওই যুবককেও পুলিশ ব্যাপক মারধোর করে থানায় নিয়ে আসে। স'ানীয় দুই ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেনের ঘটনায় সৃষ্ট এই আটকের বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন অবগত হলে সে ওসি জসিম উদ্দীনকে ফোন করেন। সাংবাদিক কামাল অভিযোগ করেন, তিনি (কামাল) ওসিকে ফোন করে ঘটনাটির খোজ খবর নেন এবং স'ানীয়ভাবে মিমাংসা করে নেয়া হবে বলে আটক যুবককে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ আমার একথা বলার পরপরই ওসি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং অশালীন ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ শুরম্ন করেন’। কামাল অভিযোগ করেন,  ওসি এক পর্যায়ে আমাকে উদ্দেশ করে বলেন ‘আমার ক্ষমতা কতখানি আপনি দেখতে চান’।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওসি জসিম উদ্দীনের প্রত্যাহার দাবি করে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, আগামী শনিবারের মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।
স্মারকলিপি গ্রহন করে পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ বলেন, বিষয়টি তদন- করে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া নেয়া হবে। এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস-ফা মন্টু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জোনাব আলী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু কুমার ঘোষ, আনোয়ার হোসেন দিলু, মনিরুল ইসলাম বাদল, এমরান ফারুক মাসুম, রফিকুল আলম, সাজেদুল হক সাজু, কামাল শুকরানা, ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট, মনোয়ার হোসেন জুয়েল, ফয়সাল মাহমুদ।
ওই স্মারকলিপির অনুলিপি দেয়া হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীরকে। এছাড়া ডাকযোগে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে।
এ ব্যাপারে ওসি জসিম উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসদাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ সাংবাদিক কামাল ভায়ের সঙ্গে আমার সর্ম্পক ভাল। পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো মারধর করার লিখিত অভিযোগে প্রেড়্গিতে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে। কামাল ভাই ওই আসামীকে ছেড়ে দিতে বললে আমি তাকে বলি মিমাংসা না হলে কিভাবে আসামীকে ছেড়ে দেই? এটুকুই ঘটনা।