বিলুপ্তপ্রায় তিল ফসলের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পলিপড়া পদ্মা নদীর চরে আদিকাল থেকে তিল চাষ হয়ে আসতো। পদ্মার ভাঙ্গনে পলি পড়া জমি বিলিন হওয়ায় সীমিত হয়ে আসে তিল চাষ। বর্তমানে তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র বিএসআরআই গাজীপুরের বাস্তবমুখি পদক্ষেপে তিল চাষের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। গত বছর পদ্মা নদীর চর এলাকায় ৩৩ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হলেও এবছর তিল চাষে লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা চরসহ আশপাশের মাঠে বারি তিল ৩ ও বারি তিল ৪ আবাদ করেছে ১’শ হেক্টরেরও বেশী জমিতে। শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া মিরেরচরা এলাকায় তিলের উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি প্রদর্শন শীর্ষক মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন কথা বলেন।
সকালে তৈল বীজ গবেষণা কেন্দ্র বিএসআরআই গাজীপুর এর বাস্তবায়নে মীরেরচরা মাঠে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. রহিম উদ্দিন আহমদ। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় মাঠ দিবসে বারি তিল ৩ ও বারি তিল ৪ সম্পর্কে কৃষদের সামনে বর্ণনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট গাজিপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল লতিফ আকন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রবীন্দ্র কুমার মজুমদারসহ অন্যান্যরা।