পিতা অবুজে’র অবুঝকান্ড> দু’ শিশুকন্যাকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করলো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমসত্মাপুর উপজেলায় স্ত্রীর প্রতি ড়্গুব্ধ হয়ে দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর নিজে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মসিদুল হক অবুজ নামের এক যুবক। মর্মানিত্মক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে।  মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে ঝুলনত্ম অবস'ায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স'ানীয়রা জানায়, গোমসত্মাপুর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বদরম্নল আলমের ছেলে মসিদুল হক অবুজের (৩৪) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ফিকিরপাড়ার সাহানুর আলীর মেয়ে পরশমনি’র (৩০) বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। দাম্পত্য জীবনে এদের তিনটি সনত্মানের জন্ম হয়। গোমসত্মাপুর তহসীল অফিসের ভেন্ডার মসিদুল হক দুর্লভপুরে পৃথক বাড়ি তৈরী করে বসাবাস করতেন। সোমবার বিকেলে মসিদুলের সঙ্গে পরশমনি’র ঝগড়া হলে পরশমনি দুই বছরের শিশু সনত্মান অনুকে নিয়ে পাশের গ্রাম ফকিরপাড়া পিতার বাড়ি চলে যায়। ঝগড়ার পর বাড়িতে থেকে যায় মসিদুল ও তার দুই শিশু কন্যা চর্তুথ শ্রেণীর ছাত্রী অপি (১০) ও অমি (৭)। মসিদুলের প্রতিবেশি সুফিয়া আক্তার বলেন, ‘ বিকালের দিকে ওরঘে বাড়িতে স্বামী স্ত্রী’র মধ্যে খুবই চেচামেচি হছিলো। মাঝে মধেই ওরঘে ঝগড়া ঝাটি হোতো। এক পর্যায়ে দেখনু কোলের ছ্যাইল্যাকে লিয়্যা পরশমনি বাড়ি থাইক্যা বাহির হোইয়্যা গেল। অবুজ দুই বেটিকে লিয়্যা বাড়ি মধ্যে ছিল’। তিনি বলেন, ‘ অবুজ যে এতো বড় ঘটনা ঘট্ট্যা দিবে হামরা ধারণায় করতে পারিনি’।
মঙ্গলবার সকালে স'ানীয়রা তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তিনজনের ঝুলনত্ম লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস'লে এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
গোমসত্মাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আহম্মেদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতের কোন এক সময় মসিদুল দু’ শিশুকন্যাকে হত্যার পর ঘরের তীরবর্গায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিজে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ উদ্ধার করা লাশ ময়না তদনেত্মর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী পরশমনিকে আটক করা হয়েছে। ওসি ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের হবে। যা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে’।
মর্মানিত্মক এই দুর্ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ মসিদুলের বাড়িতে ভীড় জমায়। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠে।