চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাল বৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে গতকাল বুধবার সকালে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি, আম ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গাছের ডালে চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্ত্তি ইউনিয়নের রাণীবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের অনিল কুমারের মেয়ে নিয়তি রাণী (২০) এবং বিনোদপুর ইউনিয়নের চামাটোলা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে পালসার আলী (১৩)। এছাড়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর, দুর্লভপুর,চকির্ত্তি এবং গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা, আলীনগর ও বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। এতে ওই সব এলাকার কাঁচা বাড়িঘর ও গাছ পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহবুল হোসেন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের চামাটোলা গ্রামের শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থÍ হয়েছে। এসময় মোশারফ হোসেনের ছেলে পালসার আলী আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডালে চাপা পড়ে মারা যায়।
দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ নজমুল কবির মুক্তা জানান, তার ইউনিয়নে ঝড়ে শতাধিক বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আম বাগানসহ অন্যান্য গাছ পালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া চককীর্ত্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার এ আলম জানান, ঝড়ে তার এলাকায় ৪০-৪৫ টি বাড়ি ঘর ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। এসময় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিয়তি রাণী মারা যায়।
অন্যদিকে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা, আলীনগর, ও বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নেও কাল বৈশাখি ঝড়ে গাছ পালা উপড়ে যায়, এছাড়াও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
অকাল ঝড়ে জেলার প্রধান অর্থকরি ফল আমেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই সব এলাকার ছোটবড় অসংখ্য আম বাগানের আম হাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি প্রচুর আম ঝরে পড়েছে। ফলে আম বাগান মালিক ও আম ব্যবসায়িরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। তবে ইতিমধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।