শিবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি টিপু হত্যা >বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্ত্রীর আবেদন

শফিকুল ইসলাম,শিবগঞ্জ প্রতিবেদক: ২৯ জানুয়ারী রাজশাহীস্থ ডলফিন কিনিকে শিবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক টিপুকে হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জড়িতদের আটক,বিচার ও শাস্তি দাবী করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন। নিহত টিপুর স্ত্রী মোসাঃ সারমিন আখতার আবেদনে বলেছেন
    আনোয়ারুল হক টিপুকে গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ৫/৬ জন মুখোসধারী সন্ত্রাসী দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে তার ডান পাঁ ভেঙ্গে যায়। তার চিকিৎসার জন্য ঐ তারিখেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ১০/১২/২০১৩ইং তারিখ উক্ত হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করে বাসায় ফিরে আসে। কিছু দিন পর তার পাঁয়ের অবস্থার অবনতি হলে ১১/০১/২০১৪ইং তারিখ রাজশাহী ডলফিন কিনিকে ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) এর নিকট গেলে তিনি বলেন অপারেশন করাতে হবে। তার নির্দেশনা মতে ২৮/০১/২০১৪ইং তারিখ বিকেলে আমার স্বামীকে ডাঃ শিমুলের রাজশাহীস্থ ডলফিন কিনিকে কেবিন নং- ০২ তে ভর্তি করি। ২৯/০১/২০১৪ইং তারিখ রাত্রী ৮.২০ ঘটিকার সময় আমার স্বামীর অপারেশনের জন্য কিনিকের ৩য় তলার পশ্চিম পার্শ্বের ১নং অপারেশন থিয়েটারে আমার স্বামী সুলতান টিপু ওরফে আনোয়ারুল হক টিপু (৪৫)-কে নিয়ে উক্ত ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) সহ অজ্ঞাত নামা ডাক্তার ৩ জন এবং কয়েকজন নার্স ভেতরে ঢুকে। অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগ পর্যন্ত আমার স্বামী সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্য ছিল এবং স্বজ্ঞানে স্ট্রেচারে শুয়ে আমাদের সকলের সাথে কথা বলে। আমি ও আমার আত্মীয়স্বজন অপারেশন থিয়েটারের বাইরে চলে আসি এবং অপারেশন থিয়েটারের সামনে অবস্থান করি। অপারেশন থিয়েটারে ঢুকার অনুমান ৩০ মিনিট পরে উক্ত ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) সহ অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সগণ বাহির হয়ে আসলে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি আমার স্বামীর অবস্থা কি ? তখন ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) আমাকে বলে আপনার স্বামীর অবস্থা খুব খারাপ। এই কথা শোনার পর আমি দ্রুত অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে আমার স্বামীর নিকট দৌড়ে যায় এবং সেখানে দেখি আমার স্বামী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার কান্না ও চিৎকারে অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে অবস্থানরত আমার আত্মীয়স্বজন অপারেশন থিয়েটারে আমার স্বামীর কাছে ছুটে গিয়ে তারাও আমার স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ অবস্থার ফাঁকে ডলফিন কিনিকের ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) সহ অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীগণ কিনিক ছেড়ে পলায়ন করে। পরিকল্পিত ভাবে ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) সহ অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সগণ আমার স্বামীকে হত্যা করে। এই মর্মে আমি রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি (মামলা নম্বর- ৩৫, তারিখ- ৩০/০১/২০১৪ইং)।
আনোয়ারুল হক টিপুর হত্যাকারী ডাঃ সামিল উদ্দীন আহম্মেদ (শিমুল) সহ অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জড়িতদের আটক,বিচার ও শাস্তি দাবী করা হয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদনে

,