নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন > আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যুবলীগ
কৃষক বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতি বিজরিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন যুবলীগ নেতা। এমনকি একজন অপরজনকে ঘায়েল করতে আইনী লড়াইও শুরু করেছেন। নির্বাচনে মোট ৫ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে জামায়াতের মাত্র একজন হলেও বিএনপিতেও প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নেমেছেন দু’জন প্রার্থী। আদিবাসী অধ্যূষিত এই উপজেলায় ভাল ভোট ব্যাংক থাকার পরেও দলের মধ্যে বিদ্রোহসহ দুই প্রার্থীর কারণে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। জামায়াতের দখলে থাকা চেয়ারম্যান পদটিতে জয়ী হওয়া নিয়ে তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে সংশয়।
আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল ২৫ জানুয়ারি চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, নাচোল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম, নাচোল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম মজিদুল হক, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও নাচোল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকন এবং নাচোল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদীয় রাজনীতিকে ঘিরে নাচোল আওয়ামীলীগে আভ্যন্তরিণ দ্ব›দ্ব চলে আসছে বহু আগে থেকেই। দলীয় সাংসদ একগ্রæপকে পৃষ্টপোশকতা দিয়ে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্ছিতরা পৃষ্টপোশকতা দিয়েছেন অন্যগ্রæপকে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় এই আভ্যন্তরিণ দ্ব›দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে প্রার্থী নির্ধারণের জন্য তৃণমূলের সভা করেও লাভ হয়নি। প্রার্থী ঠিক করতে তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটি করতে হয়েছে। ওই সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মইনুদ্দীন মন্ডল ও নাচোল গোমস্তাপর ভোলাহাট আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রার্থী নির্ধারণী নির্বাচনে আব্দুল কাদের পান ৭৫ ভোট, আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম পান ৬৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১১৯ ভোট পান নাচোল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান। একই পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চাওয়া অপর দুই প্রার্থী মিলে ভোট পান মাত্র ২৮টি।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃ›েদ্বর উপস্থিতিতে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ জানুয়ারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করে। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে একক প্রার্থী থাকলেও হটাৎ যুবলীগ নেতা আবু রেজা মোস্তাফা কামাল শামীম চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে বসেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে দু’প্রার্থীর তাদের সমর্থকদের নিয়ে গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা পড়েছেন বিপাকে। ইতোমধ্যেই বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে।
নাচোল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাক্কার আলী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রার্থী নির্ধারণ করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্রার্থী নির্ধারণের যে নিদের্শ দিয়েছেন তার লিখিত কোন পত্র আমাদের কাছে আসেনি। জেলা নেতৃবৃ›দ্বও এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। বিষয়টি জেলা নেতৃবৃ›দ্বই দেখবে’।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ এখানে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হয়েছে। ওইদিন সবাই বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন। এখন বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃ›েদ্বর সঙ্গে কথা বলে শীগ্রই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এদিকে তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটিকে ‘টাকার ভোটাভুটি’ উল্লেখ করে আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম বলেন, তৃণমূলের কিছু নেতার কারণে ওইদিন সিদ্ধান্ত তার (কাদেরর) দিকে গেছে। কিন্তু একেবারে মাঠ পর্যায়ের কর্মি সমর্থকরা আমার সঙ্গেই রয়েছে। সেই কারণে আমি নির্বাচনে আছি এবং থাকবো’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাচোলের এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, ‘ জামায়াতের একক প্রার্থী বাইরে বিএনপি’র দু’জন প্রার্থী থাকায় এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আভ্যন্তরিণ দন্দে দু’ প্রার্থীর কারণে সে সম্ভবনায় শংকা দেখা দিয়েছে। প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনেই এই দ্ব›দ্ব জিইয়ে রয়েছে’।
অন্যদিকে, নির্বাচনী যুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী যুদ্ধে থাকা শামীম দলীয় সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইও শুরু করেছেন। গত ২৭ জানুয়ারি আব্দুল কাদেরের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হলে শামীম চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের কাছে ‘আব্দুল কাদের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকা অবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন যা আইনের পরিপন্থি’ উল্লেখ করে কাদেরের মনোনয়ন পত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন। প্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি আপিল কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আবেদনকারীর আবেদন এখতিয়ার বর্হিভুত এবং যথাযথভাবেই রির্টানিং অফিসার প্রার্থী বৈধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে আবেদন খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিপত্র-১ এর ৫ অনুচ্ছেদের বলা আছে, বিধিমালার বিধি ১৭(৪) এর অধিন যে প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র রির্টানিং অফিসার কর্তৃক বাতিল বা ক্ষেত্রমতে গ্রহণ করা হয়েছে সে প্রার্থী বা ক্ষেত্রমতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের তিন দিনের মধ্যে উক্ত বাতিলাদেশ বা ক্ষেত্রমতে গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়ের করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গেজেটের বিধিমালাগুলো সব শর্ত পুরণ সাপেক্ষেই রির্টানিং অফিসার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। এখানে বিধিমালার বাইরে যাওয়ার কোনই সুযোগ নেই বা যাওয়া হয়নি’।
আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল ২৫ জানুয়ারি চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, নাচোল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম, নাচোল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম মজিদুল হক, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও নাচোল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকন এবং নাচোল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদীয় রাজনীতিকে ঘিরে নাচোল আওয়ামীলীগে আভ্যন্তরিণ দ্ব›দ্ব চলে আসছে বহু আগে থেকেই। দলীয় সাংসদ একগ্রæপকে পৃষ্টপোশকতা দিয়ে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্ছিতরা পৃষ্টপোশকতা দিয়েছেন অন্যগ্রæপকে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় এই আভ্যন্তরিণ দ্ব›দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে প্রার্থী নির্ধারণের জন্য তৃণমূলের সভা করেও লাভ হয়নি। প্রার্থী ঠিক করতে তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটি করতে হয়েছে। ওই সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মইনুদ্দীন মন্ডল ও নাচোল গোমস্তাপর ভোলাহাট আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রার্থী নির্ধারণী নির্বাচনে আব্দুল কাদের পান ৭৫ ভোট, আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম পান ৬৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১১৯ ভোট পান নাচোল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান। একই পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চাওয়া অপর দুই প্রার্থী মিলে ভোট পান মাত্র ২৮টি।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃ›েদ্বর উপস্থিতিতে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ জানুয়ারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করে। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে একক প্রার্থী থাকলেও হটাৎ যুবলীগ নেতা আবু রেজা মোস্তাফা কামাল শামীম চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে বসেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে দু’প্রার্থীর তাদের সমর্থকদের নিয়ে গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা পড়েছেন বিপাকে। ইতোমধ্যেই বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে।
নাচোল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাক্কার আলী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রার্থী নির্ধারণ করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্রার্থী নির্ধারণের যে নিদের্শ দিয়েছেন তার লিখিত কোন পত্র আমাদের কাছে আসেনি। জেলা নেতৃবৃ›দ্বও এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। বিষয়টি জেলা নেতৃবৃ›দ্বই দেখবে’।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ এখানে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হয়েছে। ওইদিন সবাই বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন। এখন বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃ›েদ্বর সঙ্গে কথা বলে শীগ্রই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এদিকে তৃণমূলের নেতাদের ভোটাভুটিকে ‘টাকার ভোটাভুটি’ উল্লেখ করে আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম বলেন, তৃণমূলের কিছু নেতার কারণে ওইদিন সিদ্ধান্ত তার (কাদেরর) দিকে গেছে। কিন্তু একেবারে মাঠ পর্যায়ের কর্মি সমর্থকরা আমার সঙ্গেই রয়েছে। সেই কারণে আমি নির্বাচনে আছি এবং থাকবো’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাচোলের এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, ‘ জামায়াতের একক প্রার্থী বাইরে বিএনপি’র দু’জন প্রার্থী থাকায় এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আভ্যন্তরিণ দন্দে দু’ প্রার্থীর কারণে সে সম্ভবনায় শংকা দেখা দিয়েছে। প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনেই এই দ্ব›দ্ব জিইয়ে রয়েছে’।
অন্যদিকে, নির্বাচনী যুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী যুদ্ধে থাকা শামীম দলীয় সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইও শুরু করেছেন। গত ২৭ জানুয়ারি আব্দুল কাদেরের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হলে শামীম চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের কাছে ‘আব্দুল কাদের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকা অবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন যা আইনের পরিপন্থি’ উল্লেখ করে কাদেরের মনোনয়ন পত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন। প্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি আপিল কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আবেদনকারীর আবেদন এখতিয়ার বর্হিভুত এবং যথাযথভাবেই রির্টানিং অফিসার প্রার্থী বৈধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে আবেদন খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিপত্র-১ এর ৫ অনুচ্ছেদের বলা আছে, বিধিমালার বিধি ১৭(৪) এর অধিন যে প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র রির্টানিং অফিসার কর্তৃক বাতিল বা ক্ষেত্রমতে গ্রহণ করা হয়েছে সে প্রার্থী বা ক্ষেত্রমতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের তিন দিনের মধ্যে উক্ত বাতিলাদেশ বা ক্ষেত্রমতে গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়ের করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গেজেটের বিধিমালাগুলো সব শর্ত পুরণ সাপেক্ষেই রির্টানিং অফিসার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। এখানে বিধিমালার বাইরে যাওয়ার কোনই সুযোগ নেই বা যাওয়া হয়নি’।