নিয়ামতুল্লাহ্’র সাফল্য দৃষ্টি কেড়েছে সবার
এই নিয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. মাজহারুল ইসলাম তরু বলেন নিয়ামতুল্লাহ আমার এখানে প্রতিদিন পেপার দেয়, ছোট বেলা থেকেই সে এই পেশার সাথে জড়িত। তবে কাজের সাথে সাথে সে পড়ালেখাটাও চালিয়ে গেছে। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করা যায় তারই যেন উদহারণ নিয়ামতুল্লাহ’রএই সাফল্য।
নিয়ামতুল্লাহ্’র দিন শুরু হয় সকালে শহরের অকট্রয় মোড়ে সংবাদপত্রের গাড়ির জন্য অপেক্ষার মধ্য দিয়ে, গাড়ী আসলে পত্রিকাগুলো গুছিয়ে বাইসাইকেলের সামনে পেছনে বেঁধে ছুটে চলা। তারপর শহরের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বাড়ি-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকাগুলো পৌচ্ছে দেয়া। সংসারের চাহিদা মিটাতে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল, খরা-রৌদ্রদগ্ধ দিনেও তার কোন বিরতি নেই।
নিয়ামতুল্লাহ্র জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোরাজারামপুর গ্রামে। পারিবারিক প্রয়োজনে ছোট বেলায় কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার অদম্য আগ্রহ। ২০০২ সালে রাজারামপুর মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক সমমানের দাখিল ও ২০০৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের আলিম পরীক্ষায় ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। ২০০৮ সালে শহরের শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পেয়ে বি.এ পাশ করে। তারপর সে আরও উচ্চতর পড়াশুনায় ব্রতী হয়। সে রাজশাহী কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে প্রিভিয়াস শ্রেণিতে ভর্তি হয়। প্রতিদিন সংবাদপত্র বিলির কারণে কাশ করা ছিল তার পক্ষে অসম্ভব। তারপরও সহপাঠিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নোটপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা দেয়। তার পরিশ্রম সার্থক হয়, অর্জন করে সর্বোচ্চ ডিগ্রী।
সাফল্যের পিছনে কার অবদান আছে নিয়ামতুল্লাহ্ কাছে প্রশ্ন করতেই বলেন অনেকেই তো বলেছে পড়ালেখা করে কি হবে, বিদেশ যাবার চেষ্টা কর। তবে আমি হাল ছাড়িনি, ভেবেছি একদিন সফল হবই আর আমার এই পড়ালেখার বিষয়ে অনেক বেশি পরামর্শ পেয়েছি তরু স্যারের কাছে। সেই সাথে রাজশাহী কলেজে আমার শিক ও কাসমেটরাও আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা না করলে হয়ত এই ফলফল করতে পারতাম না।