বলিউড পর্দায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রক্ষাপট নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে বলিউডে। ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ নামের এ ছবিটি নির্মাণ করেছেন ভারতীয় নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৩০ লাখ মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি ধর্ষিত হয়েছিলো প্রায় দুই লাখ নারী। সেই বিষয়টি নিয়েই মূলত ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এই ছবিটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, পবন মালহোত্রা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ভিক্টর ব্যানার্জি প্রমুখ। ছবিটি চলতি সময়টাতে ভারতে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও সেটি আপাতত হচ্ছে না। কারণ, ছবির নামে ‘বাস্টার্ড’ শব্দটি থাকায় এটি আটকে দিয়েছে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড। যুদ্ধচলাকালে এই শব্দটি বেশ ব্যবহৃত হয়েছে। ছবির নামকরণে নিজের যুক্তিগুলো সেন্সরবোর্ডের কাছে উথাপন করেছেন পরিচালক।
কিন্তু তাতে কিছু কাজে আসেনি। নাম পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে সেন্সরবোর্ডের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, এর আগে ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’ নামক একটি ছবি তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু সেটি এভাবে সেন্সরে আটকে দেয়া হয়নি। তবে কেন এই ছবিটি আটকে দেয়া হবে- বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক মৃত্যুঞ্জয়। এদিকে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত নাম পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ছবিটি মুক্তি দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, নামের জন্য ছবিটি আটকে দেয়ার বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। সত্যি বলতে ছবির কাহিনীর সঙ্গে এই নামটি সবচেয়ে বেশি যায়। তাই নামটি পরিবর্তন কিভাবে করবো বুঝতে পারছি না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে প্রচুর ছবি নির্মিত হয়েছে হলিউডে। কিন্তু বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব একটা ছবি নির্মিত হয়নি। ১৯৭১ সালে ধর্ষণ ও ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি কেবল এই ঐতিহাসিক বিষয়টিকে চলচ্চিত্রে তুলে আনার চেষ্টা করেছি। এদিকে বাংলাদেশেও ছবিটি মুক্তি পেতে পারে বলে জানা গেছে।
ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তির ব্যাপারে পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ”আমি চাই যে দেশ নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছি সেখানে এটি মুক্তি পাক। আমার ছেলেবেলা কেটেছে বাংলাদেশেই। এই ছবি বাংলাদেশের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা ছোট উপহার। আশা করছি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি দিতে পারবো।”

,