ভারতের বড় দাদাগিরি আমরা দেখতে চাই না-মির্জা ফখরুল



বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'ভারত যখন তখন পানি বন্ধ করে দিবে, যখন তখন চাউল বন্ধ করে দিবে, পিয়াজ বন্ধ করে দিবে এই বড় দাদাগিরি আমরা দেখতে চাই না। আমরা চায় ভারত আমাদের সমান মর্যাদা দিয়ে সহযোগিতা করবে। না হলে ভারত কখনই বাংলাদেশকে বন্ধু হিসাবে পাবেনা'।
শনিবার বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠে পদ্মা নদীর পানির নায্য হিস্যার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  
মির্জা ফকরুল জামাত কে ইঙ্গিত করে বলেন,' জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়েছে উঠেছে। কিন্তু তাদের অতীত রেকর্ড ভাল না।  দেশের এই সংকটের কালে একটি দল সংকটকে আরো গভীর সংকটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই মিলে সংস্কারের সনদ সই করলাম পার্লামেন্টের সামনে। এখন হটাৎ করে সেই দলটি বলতে শুরু করেছে আমাদের পিআর দরকার। যে জিনিস বাংলাদেশের মানুষ বোঝেনা। সেই জিনিস মানুষের ঘারের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে কার ইঙ্গিতে। তারা লাফিয়ে উঠেছেন ক্ষমতায় যাবেন বলে’। তিনি প্রশ্ন করেন বলেন, ‘গত নির্বাচনে কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছিলেন জামায়াতে ইসলাম। তারা ভোট পেয়েছিলেন ৫/৬ পার্সেন্ট। রাতারাতি লাফ দিয়ে ৫১ পার্সেন্ট হয়ে যাবেন। এটা মনে করিয়েন না। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সহজে ভোট দিবেনা। কারণ আপনাদের জনগন বিশ্বাস করেনা’।

জামায়াতকে উদ্যেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ পাকিস্তান আন্দোলনের সময় আপনার তার বিরোধিতা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করলাম পাকিস্তান থেকে রেরিয়ে আসার জন্য। তখন আপনার শুধু বিরোধিতায় করেননি, পাকিস্তানি মিলিটারির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যা করেছেন’।
জামায়াত নেতাদের বলেন, ‘ ভাল হয়ে যান। নির্বাচনের প্রস্তুতিতো আপনারা অনেক আগে থেকেই নিয়ে রেখেছেন। আজকে আপনাদের অনেক বড় বড় বিলবোর্ড দেখলাম, অন্য দলেরতো তেমন বড় বিলবোর্ড দেখলাম না। তবে, কেন জনগনকে ধোকা দিচ্ছেন। আপনারাতো নির্বাচন করবেন। নির্বাচন না করলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবেনা’।

তিনি বলেন, ‘ প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন এই নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের বিকল্প নেই। কারণ নির্বাচন যত দেরী হচ্ছে বাংলাদেশ তত দুর্বল হচ্ছে’।
পদ্মা নদী প্রসঙ্গে বলেন, ‘পদ্মা এলাকার মানুষের জীবন। পদ্মাকে ঘিরে আমাদের জীবিকা হয়। অন্য নদীগুলো জীবন পায়। পদ্মা আর্ন্তজাতিক নদী। আর্ন্তজাতিক নদী হিসেবে পদ্মার পানির নায্য হিস্যা আমাদের অধিকার কোন দয়া নয়’।
গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের প্রয়োজনিয়তা উল্লেখ করে পদ্মার পানির নায্য হিস্যা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেন।
ভারতের দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা যড়যন্ত্র করছে, জ্বালাও পোড়াওয়ের ঘোষণা দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হারুনুুর রশিদ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, আমিনুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল হক মিলনসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৫ নভেম্বর ২০২৫