চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রায় ১৫ শ’ কৃষকের নতুন করে আরো ৪শ’ ৩০ হেক্টর জমির মাসকালাইসহ সবজি ডুবে গেছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ১ হাজার ৯ শ’ ৮৯ হেক্টর জমির মাসকালাই, রোপা আউশ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, চিনা, আখসহ সবজি নষ্ট হতে বসেছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পদ্মা পাড়ের প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও কয়েকটি শিা প্রতিষ্ঠানের কাসরুমে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকরা বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহহারে। এতে করে নিম্নাঞ্চলের কৃষকের আবাদিজমি পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে মাসকলাই, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, আখসহ বিভিন্ন ফসলের জমি ডুবে গেছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছেনÑ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের য়তির আশঙ্কা থাকবে না। তবে পানি দ্রুত নেমে না গেলে কৃষকেরা য়তি বেশি হবে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমির মাসকলাই আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩২ হেক্টর মাসকলাই পানিতে ডুবে যায়। এছাড়াও ৫ হেক্টর রোপা আউশ, ৯ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজসহ ১ হাজার ৯ শ’ ৮৯ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ও সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলী, শাহাজাহানপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ হাজার ৯শ’ ৮৯ হেক্টর মাসকালাই, রোপা আউশসহ সবজি পানিতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া মাসকালাইয়ের মধ্যে রয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ৬৭০ হেক্টর ও সদর উপজেলায় ২১২ হেক্টর। এতে জেলার প্রায় ৬ হাজার ৮১০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, উজানের ঢলে গত সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মায় পানি বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ০৫ মিটার। বর্তমানে পদ্মার পানি বিপৎসীমার মাত্র ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫ সেপ্টম্বর ২০২৪
পদ্মায় আরো ৪শ’ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত