চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় গ্রেফতার হওয়া ছিনতাই মামলার আসামীকে দেখতে যাওয়া এক নারীকে মারধর, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শিবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে শিউলী খাতুন। তবে পুলিশের দাবি, থানা কম্পাউন্ডে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ, এমন কি থানার একটি গাছে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় ওই নারীকে বাধা দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করেন, গত বুধবার তার বোনের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ইমনকে একটি মামলায় আটক করলে মা (শিউলির মা) ও বোন (ইমনের মা)সহ পরিবাররের কয়েকজন সদস্য থানায় দেখতে যায়। ইমন মানসিক ভারসাম্যহীন এই বিষয়টি পুলিশকে বোঝাতে তার চিকিৎসাপত্র দেখাতে গেলে তা না দেখে উল্টো পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর ও নির্যাতন শুরু করে। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে পুলিশ আমাকে, আমার বোন ও আমার মাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয় এবং গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পুরোপুরি সুস্থ না হলেও আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে আমি জামিনে মুক্ত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিউলী খাতুনের মা সালেহা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামীকে দেখতে এসে থানায় হট্টগোল করেন ওই নারী। এছাড়াও পুলিশকে গালিগালাজ ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। এমনকি থানা চত্বরে গাছে উঠে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘থানা চত্তরে গাছ থেকে নামানোর সময় একু আধটু সামান্য আঘাত পেতে পারে, এর বেশী কোন ঘটনা ঘটেনি’।
ওসি জানানা, থানা চত্বরে গাছে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
শিবগঞ্জ থানায় আসামীকে দেখতে যাওয়া নারীকে মারধরের অভিযোগ ॥ পুলিশ বলছে, ভিন্ন কথা...