ভারতে বৃষ্টি হলেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়




জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশের পাবনা-ফরিদপুর অঞ্চলে হাজার হাজার কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যখনই খবর পাচ্ছে ভারতে বৃষ্টি হয়েছে, তেমনি  পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেমনি ভারত আমদানি বন্ধ করছে, দাম বেড়ে যাচ্ছে৷ অনেকেই বলেন, কর্পোরেট লোকজন সিন্ডিকেট করছে। কিন্তু এর সাথে  অনেকেই  জড়িত।
বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানামা সোনামসজিদ পোর্টের সম্মেলন কক্ষে স্থলবন্দরের আমদানীকারক-রফতানিকারক, সিএ্যান্ডএফ ও ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 
অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, 
চলতি বছরে পেঁয়াজ চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। 
 কেজি প্রতি উৎপাদন খরচ গত বছর ছিল ২২ টাকা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। রোজা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ঠিক ছিল। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। সাধারণত পেঁয়াজ উঠে মার্চ-এপ্রিল মাসে।  হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির এই আচরণ কাম্য নয়। অথচ দাম বৃদ্ধির পরপরই ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি শুরু করলেই দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। এবিষয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত  আসছে। প্রযুক্তির কল্যানে ফোনে ও এসএমএসে ভারতে বৃষ্টি ও আমদানি বন্ধের খবরে দ্রুত দাম বৃদ্ধি হয়ে যায়।

বিভিন্ন নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্রেতাদেরকেও সর্তক হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আমরা যদি ইফতারে যদি বেগুনি না খায়, তাহলে আমাদের ইফতারি অস্বচ্ছ হবে না। তিন হাজার টাকার একটি কাপড় নেয় না। কিন্তু সেই পন্যের গায়ে যখন ১০ হাজার টাকা মূল্য লিখা থাকে, তখন সেটিই ক্রয় করি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। তবে এর আগে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিংয়ে কাজ করছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যালয়ে গতবছর মোট ৯ হাজার অভিযোগ পড়েছিল। কিন্তু চলতি বছর তা বেড়ে প্রায় ৩৩ হাজার হয়েছে। ভোক্তার এতোগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আরও জনবল প্রয়োজন। সারাদেশে মাত্র ৮৮ জন কর্মকর্তা রয়েছে। যারা হেডকোয়ার্টার, বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছে৷

মতবিনিময় সভায় সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পন্য আমদানি-রপ্তানিতে নানারকম সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। 
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটের ম্যানেজার মাইনুল ইসলামসহ আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক একেএম গালিব খাঁনের সভাপতিত্বে  ক্যাব, চেম্বারের সদস্য, ব্যবসায়ী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভা করেন তিনি। 
 চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৮ মে, ২০২৩