চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ লকডাউনের পরিবর্তে ১১ দফা বিধিনিষেধে যা থাকছে

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে দ্বিতীয় দফায় চলমান লকডাউনের পরিবর্তে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ লকডাউনের পরিবর্তে ১১ দফা বিধিনিষেধে যা থাকছে।
(ক)    সকল ধরণের দোকানপাট ও শপিংমল বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ০৯:০০ টা হতে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মার্কেট কমিটি, সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক তার অংশে উক্ত শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করবেন;
      
(খ)    মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত অন্য কোন আরোহী যাতায়াত করতে পারবেনা। রিকশায় শুধুমাত্র ০১ জন যাত্রী এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় সর্বোচ্চ ০২ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা যাবে;
      
(গ)    সকল ধরণের সাপ্তাহিক হাট/বাজার আগামী ১৬.০৬.২০২১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও মুদি দোকানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ০৯:০০ টা হতে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে;
      
(ঘ)     স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন চালু থাকবে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় অবস্থিত বৃহত্তম আম বাজারসমূহ এর নিকটস্থ স্টেডিয়াম/কলেজ/স্কুল মাঠে পূর্বের ধারাবাহিকতায় স্থানান্তরিত থাকবে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
      
(ঙ)    জনসমাবেশ হয় এমন ধরণের সামাজিক (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে;
      
(চ)    খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ০৬:০০ ঘটিকা হতে রাত ১০:০০ ঘটিকা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করতে পারবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে বসে খাবার খাওয়া যাবে না;
      
(ছ)    সকল আন্তঃজেলা গণপরিহন (আম পরিবহনকারী যানবহন ব্যতীত) চলাচল বন্ধ থাকবে। আম ব্যবসায়ীগণ আম ক্রয়ের নিমিত্ত  অন্যান্য জেলা হতে এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। জেলার মধ্যে গণপরিবহনসমূহ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কোন যাত্রী মাস্ক পরিহিত না থাকলে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট চালক-হেলপার ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    
(জ)    শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে;
      
(ঝ)    স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে।
      
(ঞ)    কৃষিকাজ ও নির্মাণকাজের সাথে জড়িত শ্রমিকগণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করে কৃষিকাজ/নির্মাণকাজ চালাতে পারবেন;
      
(চ)    জরুরী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। তবে সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।