হাসপাতালে যাওয়া হলো না কুলসুমের ॥ পদ্মা ঘাটেই মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের সেরাজুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া বেগম কুলসুমের (৩৬) হাসপাতালে যাওয়া হলো না। নৌকার জন্য পদ্মা নদীর ঘাটে অপেক্ষা করা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে মারা যান ৭ মাসের গর্ভবতী কুলসুম। কুলসুমের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আবুল কালাম আজাদ জানান, সাত মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন কুলসুম। বেশ কয়েকদিন থেকে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। শনিবার থেকে অসুস্থের মাত্রা বেড়ে যায়। পরে রবিবার দুপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার পরিবার কদমতলা ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিল। এরই মাঝে তার মৃত্যু হয়।
পাকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হোসেন আলী জানান, মারা যাওয়া কুলসুমের পরিবার দরিদ্র। তার স্বামী একজন নির্মাণ শ্রমিক (রাজ মিস্ত্রি)। সে বর্তমানে ঢাকায় কাজ করছেন। তাদের দু’টি ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে।
এদিকে, পদ্মাপাড়ের অসুস্থ মানুষদের জরুরী চিকিৎসা সেবায় সম্প্রতি চালু হয়েছে নৌ এ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু অসচেতনতার কারণসহ যোগাযোগের অভাবে হতদরিদ্র পরিবারটি নৌ এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা নিতে পারেনি।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, নৌ এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা নেয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কুলসুমের পরিবারের পক্ষ থেকে অবগত করা হয়নি।
এব্যাপারে ইউপি সচিব আকবর হোসেন বলেন, ‘ গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর খবর জানিনা। নৌ এ্যাম্বুলেন্স নেয়ার জন্য কেউ যোগাযোগ করেননি’।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নৌ এ্যাম্বুলেন্সের জন্য নির্দিষ্ট হটলাইন সার্ভিস চালু থাকলে তার সুবিধা নেয়া সহজ হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘নৌ এ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তি সহজ করা না হলে যে উদ্যেশে এ্যাম্বুলেন্সটি চালু করা হয়েছে তা কোন কাজে আসবেনা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-১১-২০

,