মাতাল হয়ে ঢুকে বিএসএফ সদস্য ‘জামাই আদরে’ ফিরে যাবার পরের দিন সীমান্তে ‘বিএসএফ' মারল বাংলাদেশিকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাতাল অবস্থায় অস্ত্রসহ এক বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত যাওয়ার একদিন পরেই শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকূপি সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে মারল বাংলাদেশীকে। তবে, তেলকূপি সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ৫৯ বিজিবি অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকাল দশটার দিকে তেলকুপি সীমান্ত এলাকায় তেলকূপির লম্বাপাড়ার আইনাল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর কবুতর ও পাখি ধরার জন্য অবস্থান করছিল। এসময় ভারতের চুরি অনন্তপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে প্রথমে মারধর ও পরে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। তার বাম পায়ের উরুতে গুলি লাগে। তার হাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে। বর্তমানে তার মরদেহ তেলকূপি লম্বাপাড়া গ্রামে রয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের ভাতিজা মাসুদ জানান, ৪৫ বছর বয়স্ক জাহাঙ্গীর আগে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ভাল ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিতিও ছিল। কিন্তু মাদকের সংস্পর্শে এসে কয়েক বছরের ধরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
তিনি জানান, পাগলা নদী পাড়ের এই মানুষটি সীমান্ত এলাকায় কবুতর বা পাখি ধরে দিন কাটাতো।
এদিকে, মানসিক সমস্যায় ভুগা জাহাঙ্গীরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসানের কাছে ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন। খুদেবার্তা দিয়েও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে জাহাঙ্গীর হত্যাকান্ডের মাত্র একদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চানশিকারী সীমান্তে মাতাল অবস্থায় আসাদ নামের এক বিএসএফ সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে স্থানীয় সেলিম উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ জিয়া তাকে আটক করে বিজিবি’র কাছে সোপার্দ করে।
বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়, সীমান্তে মাতাল অবস্থায় একজন বিএসএফ সদস্যকে অস্ত্রসহ উদ্ধার করে পরে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তরা করেছে বিজিবি। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ৪৪ বিএসএসফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্টের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক হওয়া বিএসএফ সদস্যকে চাঁনশিকারী বিওপিতে বিএসএফ সদস্যকে নিরস্ত্র করার পর তার শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
‘শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত’ হয়ে বিএসএফ সদস্য ফিরে যাবার একদিন পরেই তেলকূপিতে এই হত্যাকান্ড ঘটলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০৭-২০
শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকাল দশটার দিকে তেলকুপি সীমান্ত এলাকায় তেলকূপির লম্বাপাড়ার আইনাল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর কবুতর ও পাখি ধরার জন্য অবস্থান করছিল। এসময় ভারতের চুরি অনন্তপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে প্রথমে মারধর ও পরে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। তার বাম পায়ের উরুতে গুলি লাগে। তার হাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে। বর্তমানে তার মরদেহ তেলকূপি লম্বাপাড়া গ্রামে রয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের ভাতিজা মাসুদ জানান, ৪৫ বছর বয়স্ক জাহাঙ্গীর আগে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ভাল ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিতিও ছিল। কিন্তু মাদকের সংস্পর্শে এসে কয়েক বছরের ধরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
তিনি জানান, পাগলা নদী পাড়ের এই মানুষটি সীমান্ত এলাকায় কবুতর বা পাখি ধরে দিন কাটাতো।
এদিকে, মানসিক সমস্যায় ভুগা জাহাঙ্গীরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসানের কাছে ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন। খুদেবার্তা দিয়েও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে জাহাঙ্গীর হত্যাকান্ডের মাত্র একদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চানশিকারী সীমান্তে মাতাল অবস্থায় আসাদ নামের এক বিএসএফ সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে স্থানীয় সেলিম উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ জিয়া তাকে আটক করে বিজিবি’র কাছে সোপার্দ করে।
বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়, সীমান্তে মাতাল অবস্থায় একজন বিএসএফ সদস্যকে অস্ত্রসহ উদ্ধার করে পরে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তরা করেছে বিজিবি। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ৪৪ বিএসএসফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্টের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক হওয়া বিএসএফ সদস্যকে চাঁনশিকারী বিওপিতে বিএসএফ সদস্যকে নিরস্ত্র করার পর তার শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
‘শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত’ হয়ে বিএসএফ সদস্য ফিরে যাবার একদিন পরেই তেলকূপিতে এই হত্যাকান্ড ঘটলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০৭-২০