নিরাপদ খাদ্য নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুসারে পৃথিবীতে বছরে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রতিবছর পৃথিবীতে মৃত্যুবরণ করে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। খাদ্য ও পানি থেকে সৃষ্ট ডায়রিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ মারা যায়, যার মধ্যে ১৯ লক্ষই শিশু।
নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজশাহী বিভাগের জন্য নির্ধারিত কর্মশালাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ্ এডুকেশন এন্ড প্রোমোশন “ইনক্রিজ এ্যাওয়ারনেস অন অকুপেশনাল এন্ড এনভার্নমেন্টাল হেলথ্ থ্রু সেফ ফুড প্রাকটিস” শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর পক্ষ্যে ধ্র“ব এ্যাডভার্টাইজিং কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা প্রদান করে।
কর্মশালায় মূল উপস্থাপনায় বলা হয়, অনিরাপদ খাবারের মাধ্যমে হতে পারে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বমি, জ্বরসহ নানা প্রকার রোগ। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন অসুখ যেমন: ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন প্রকার প্রাণঘাতি রোগ।
বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৯ সালে প্রকাশিত মূল্যায়নে দেখা যায় বাংলাদেশে এখনও ৩১% শিশুর উচ্চতা স্বাভাবিক উচ্চতার নীচে। ২২% শিশুর কম ওজন নিয়ে জš§গ্রহণ করে। পুষ্টিকর ও সুষম খাবারের অভাবে এ জাতীয় সমস্যা হয়ে থাকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাদিম সরকারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ ইসলাম মুন। আলোচনায় অংগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দ।
এছাড়াও অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন ২৫ জন চিকিৎসক।
যে সকল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংগ্রহ, তৈরি ও সংরক্ষণ করার সময় মানুষ বা প্রাণী অসুস্থ হতে পারে এমন কোনো উপাদান না থাকে, তাকেই নিরাপদ খাদ্য বলা হয়। সাধারণত, যেসব খাদ্য পুষ্টিকর এবং যার ভেতরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, সেরকম খাদ্যকেই নিরাপদ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
খাবারকে নিরাপদ রাখার জন্য বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করার জন্য কর্মশালয় গুরুত্বারোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা; কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা; সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা;  সঠিক তাপমাত্রায় খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণ করা এবং নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০৬-২০