অনুভূতির তুলির আঁচড়ে আঁকা ছবি গেল ‘ছবির মানুষের’ কাছে

কোন এক বছরের বিশ্ব ভালবাসা দিবসে জনারণ্যের বাইরে নির্জন নিরালায় শিল্পীর কাঠপেন্সিলের ডগা ঘুরে ফিরছে সাদা কাগজের জমিনজুড়ে। আঁচড়ে আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রিয়তমার মুখাচ্ছবি। নিপূণ আঁচড়ে আঁচড়ে গড়া প্রিয়মুখ। শিল্পীর অপলক চেয়ে থাকা। কিন্তু এই সুন্দর নির্মাণ কেন পেন্সিলের কালো দাগ দিয়ে, এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্পী মলিনমূখে বেদনার কণ্ঠে বললেন, ‘কষ্টের রঙ তো কালোই’।
এবার অন্য দৃশ্যপট। মাঠ প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের পর, জনপদের মানুষের কাছাকাছি যাওয়া। সে থেকে মানুষের হৃদয়ে, অনুভূতিতে ছোঁয়া দেয়া একজন। ভাললাগা, ভালবাসার একটা ভিন্ন যায়গা কওে নেওয়ায় শিল্পীর ‘বেনীআসহকলা’য় ফুটে উঠেছেন জীবন্ত হিসেবে। বেগুনি, নীল, আসমানী, সাদা, হলুদ, কমলা ও লাল রঙ দিয়ে হৃদয় কোনের অনুভ‚তির তুলির রেখায় রেখায় আঁকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের ছবি। ছবিটি এঁকেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিভাবান শিল্পী জগন্নাথ সাহা।
বলা হয়েছে, ‘বেনীআহসহকলা’ দিয়ে আঁকা, কালোর ব্যবহার নেই। বোধহয়, কষ্টের রঙ কালোরও ব্যবহার আছে। কেননা, ছবির ক্যাপসানে লেখা হয়েছে ‘ যেতে নাহি দিব হায়...’

শিল্পী জগন্নাথ সাহার রঙ তুলির সৃষ্টি ওই ছবিটি দেয়া হয়েছে, ছবির মানুষ আলমগীর হোসেনকে। তার আগেই ছবিটি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এ ‘ওয়াল’, থেকে ও ‘ওয়াল’ ঘুরেছে অনেক ‘ওয়াল’। ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষা, উন্নয়ন, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বল্যাবিয়ে রোধ ও মাদক প্রতিরোধে অবদান রাখা এবং সর্বশেষ করোনাকালে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনের যে স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন, জগন্নাথ সাহার ছবিটিতে যেন সবকিছুই ফুটে উঠেছে।
প্রতিভাবন শিল্পী জগন্নাথ সাহা অনুভুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমার আঁকা ছবিটি বারঘরিয়অ বাইশপুতুল সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সৌজন্যে ইউএনও মহোদয়কে উপহার স্বরূপ দিয়েছি। মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি পালকে নিয়ে ছবিটি তুলে দিতে পেরেই খুশি হয়েছি’ ।
তবে, তিনি কষ্টের কালো রঙ-এর কথাও বলেছেন এইভাবে, ‘ যদিও তার বিদায়ে আমাদের মনে অনেকটা কষ্টই আছে’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৬-২০