করোনা আতংক ও প্রশাসনিক শর্তমানা নিয়ে সংশয় > মার্কেট খুলছেনা এবারের ঈদে
বিশ্বমহামারি হিসেবে দেখা দেয়া করোনা ভাইরাসের থাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বাড়তে থাকায় আতংক ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রশাসনিক শর্ত মেনে ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে সংশয়ের কারণে এবারের ঈদুল ফিতরে খুলছেনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান প্রধান মার্কেট। শুক্রবার বিকেলে বণিক সমিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এবারে ঈদে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত হয়। মাত্র তিনদিন আগে মার্কেট খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে থাকা ব্যবসায়ীরা করোনা ভয় ও বিধিভঙ্গজনিত জরিমানা আতংকে পেছনে সরে আসেন। ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত ওই সভা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চাঁপাইনববাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতিতে সমিতির সভাপতি এরফান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ নিউমার্কেট সমিতি, ক্লাব সুপার মার্কেট সমিতি, শহীদ সাটু হল মার্কেট সমিতি, ডিসি মার্কেট সমিতি, স্বর্ণকার সমিতিরি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেয়।
সভা সূত্র জানায়, গেল ৬ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হকের সভাপতিত্বে ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দে সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় ১০ মে থেকে ঈদ উপলক্ষে মার্কেটগুলো খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় ব্যবসায়ীরা ১০ মে’র আগেই মার্কেট খোলার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানান। সভায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে কেনা বেচায় পারষ্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, মার্কেটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখাসহ মোট ১২ শর্তসাপেক্ষে দোকান খোলা যাবে মর্মে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য বিধি ভঙ্গসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা না হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসকের ওই সভায় উল্লেখ করা হয়।
কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের ওই সভার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেট খোলার ব্যাপারে কাজ শুরু করে দিলেও এরই মাঝে চাঁপাইনবাবগঞ্জের করোনা আক্রাস্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দ্বিধাদ্ব›েদ্বর মধ্যে পড়েন তারা। আবার প্রশাসনের আরোপিত ১২ শর্ত পুরণ করা নিয়েও দেখা দেয় সংশয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ সরকারিভাবে মানুষকে এতো সচেতন করার পরেও মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেননা। দীর্ঘ বিরতির পর মার্কেট খোলা হলে ব্যবসায়ীরা যতই চেষ্টা করুক। মানুষকে সামাজিক দূরত্বে অবস্থান করানো মুশকিল হবে। আর এটি হলে ব্যবসায়ীরা জরিমানার শিকার হতে পারেন। আবার সেই সঙ্গে নিজের জীবনও রয়েছে’।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হটাৎকরে শিল্প ও বণিক সমিতির উদ্যোগে সভা আহবান করা হয়। সূত্র জানায়, বণিক সমিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মার্কেট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হয়। মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিচ্ছিন্ন ভাবে দায় দায়িত্ব সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয় মর্মে উল্লেখ করে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভার সভাপতি এরফান আলী বলেন, ‘ মার্কেটগুলো সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা সবাই এক মত হয়েছেন যে ‘জীবন থাকলে ব্যবসা পাওয়া যাবে, কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তো জীবন আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। তাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে যেসব মার্কেট খোলার কথা হচ্ছিল তা খোলা হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন-“তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব দোকান খোলা হচ্ছে সেসব দোকান যথারীতি খুলবে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাটের সকল মার্কেট ব্যবসায়ী ভাইদের করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান বণিক সমিতির সভাপতি এরফান আলী।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন-ঈদের কেনাকাটা করতে লোকজন আসবে এবং কোনোভাবেই ভিড় সামলানো যাবে না। কাজেই মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৬ মের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সভার পর কিছু ব্যবসায়ী ঈদের পণ্যের অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। এখন মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে তারা নতুন করে বেকায়দায় পড়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৮-০৫-২০
চাঁপাইনববাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতিতে সমিতির সভাপতি এরফান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ নিউমার্কেট সমিতি, ক্লাব সুপার মার্কেট সমিতি, শহীদ সাটু হল মার্কেট সমিতি, ডিসি মার্কেট সমিতি, স্বর্ণকার সমিতিরি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেয়।
সভা সূত্র জানায়, গেল ৬ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হকের সভাপতিত্বে ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দে সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় ১০ মে থেকে ঈদ উপলক্ষে মার্কেটগুলো খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় ব্যবসায়ীরা ১০ মে’র আগেই মার্কেট খোলার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানান। সভায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে কেনা বেচায় পারষ্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, মার্কেটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখাসহ মোট ১২ শর্তসাপেক্ষে দোকান খোলা যাবে মর্মে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য বিধি ভঙ্গসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা না হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসকের ওই সভায় উল্লেখ করা হয়।
কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের ওই সভার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেট খোলার ব্যাপারে কাজ শুরু করে দিলেও এরই মাঝে চাঁপাইনবাবগঞ্জের করোনা আক্রাস্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দ্বিধাদ্ব›েদ্বর মধ্যে পড়েন তারা। আবার প্রশাসনের আরোপিত ১২ শর্ত পুরণ করা নিয়েও দেখা দেয় সংশয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ সরকারিভাবে মানুষকে এতো সচেতন করার পরেও মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেননা। দীর্ঘ বিরতির পর মার্কেট খোলা হলে ব্যবসায়ীরা যতই চেষ্টা করুক। মানুষকে সামাজিক দূরত্বে অবস্থান করানো মুশকিল হবে। আর এটি হলে ব্যবসায়ীরা জরিমানার শিকার হতে পারেন। আবার সেই সঙ্গে নিজের জীবনও রয়েছে’।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হটাৎকরে শিল্প ও বণিক সমিতির উদ্যোগে সভা আহবান করা হয়। সূত্র জানায়, বণিক সমিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মার্কেট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হয়। মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিচ্ছিন্ন ভাবে দায় দায়িত্ব সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয় মর্মে উল্লেখ করে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভার সভাপতি এরফান আলী বলেন, ‘ মার্কেটগুলো সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা সবাই এক মত হয়েছেন যে ‘জীবন থাকলে ব্যবসা পাওয়া যাবে, কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তো জীবন আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। তাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে যেসব মার্কেট খোলার কথা হচ্ছিল তা খোলা হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন-“তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব দোকান খোলা হচ্ছে সেসব দোকান যথারীতি খুলবে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাটের সকল মার্কেট ব্যবসায়ী ভাইদের করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান বণিক সমিতির সভাপতি এরফান আলী।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন-ঈদের কেনাকাটা করতে লোকজন আসবে এবং কোনোভাবেই ভিড় সামলানো যাবে না। কাজেই মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৬ মের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সভার পর কিছু ব্যবসায়ী ঈদের পণ্যের অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। এখন মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে তারা নতুন করে বেকায়দায় পড়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৮-০৫-২০