অপ্রয়োজনে তৈরী করা বোনের হ্যাসাল, ভাইয়ের দেয়াল ভেঙ্গে আনা হলো শান্তি > স্পট বালিয়াডাঙ্গা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রাম। এই গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় বসবাস আপন ভাই বোনের। একই মায়ের পেটে জন্ম, অতপর একই সঙ্গে বেড়ে উঠা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ছিলনা দু’ ভাই বোনের মধ্যে সৌহার্দ, সম্প্রীতি, শান্তি। পৈত্রিক একখন্ড জমি নিয়ে ভাই বোনের দ্বন্দ্ব প্রায় ২ বছরের। গ্রাম আদালত, থানা পুলিশ কোন কিছুতেই লাভ হয়নি। দ্বন্দ্বকে ঘিরে গেল সাতমাস ধরে বসবাসই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। অবশেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে আপাতত শান্তি প্রতিষ্টা হয়েছে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে থাকা ভাই বোনের ওই পৈত্রিক ভিটায়।
স্থানীয়রা জানায়, পিয়ারাপুর গ্রামের উমর কবিরাজের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু তার বোন সুকি বেগমের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিবদমান জমিটুকু নুরুল ইসলাম ও সুকি বেগমের মা তার দু’ মেয়ের নামে লিখে দেন। নুরুল ইসলাম তার অন্যবোনের অংশটুকু কিনে নিলে সে অংশটুকু পড়ে সুকি বেগমের বাড়ির পেছনে। দ্বন্দ্বের জের ধরে নুরুল ইসলামকে পেছনে যেতে সুকি বেগম পেছনে যাওয়ার পথে তৈরী করে বসেন রান্নাঘর (হ্যাসাল)। প্রতিহিংসায় নুরুল ইসলাম সুকির বাড়ির সামনের অংশে তার জমিতে অপ্রয়োজনে দিয়ে বসেন দেয়াল। ফলে বোনের বাড়ির বাইরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এমনটি টিউবয়েলের পানি নেয়া নিয়েও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, দেয়ালের কারণে বোনের বাড়ি অবরুদ্ধ হয়ে গেলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় স্থানীয় জন প্রতিনিধি এমনকি পুলিশের কাছেও। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি।
বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোচরে আসলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অপ্রয়োজনের করা বোনের হ্যাসাল, ভায়ের দেয়াল ভেঙ্গে উভয়ের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের আলোচনা করে প্রথমে কাউন্সিলিং করা হয়। পরে আলোচানক্রমে উভয়ের যাতায়াতে যাতে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে সেই ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু ওই জমিটি বন্টননামা নেই সেহেতু। খাজনা পরিশোধ করে বন্টননামাও করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভুমি সংক্রান্ত সার্বিক সহযোগিতা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়’।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিবাদে যাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে ব্যাপারে তাদের সর্তক করা হয়েছে এবং সুকি বেগমের পরিবার ত্রাণ পাওয়ার উপযোগি হওয়ায় সরকারি ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৫-২০
স্থানীয়রা জানায়, পিয়ারাপুর গ্রামের উমর কবিরাজের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু তার বোন সুকি বেগমের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিবদমান জমিটুকু নুরুল ইসলাম ও সুকি বেগমের মা তার দু’ মেয়ের নামে লিখে দেন। নুরুল ইসলাম তার অন্যবোনের অংশটুকু কিনে নিলে সে অংশটুকু পড়ে সুকি বেগমের বাড়ির পেছনে। দ্বন্দ্বের জের ধরে নুরুল ইসলামকে পেছনে যেতে সুকি বেগম পেছনে যাওয়ার পথে তৈরী করে বসেন রান্নাঘর (হ্যাসাল)। প্রতিহিংসায় নুরুল ইসলাম সুকির বাড়ির সামনের অংশে তার জমিতে অপ্রয়োজনে দিয়ে বসেন দেয়াল। ফলে বোনের বাড়ির বাইরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এমনটি টিউবয়েলের পানি নেয়া নিয়েও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, দেয়ালের কারণে বোনের বাড়ি অবরুদ্ধ হয়ে গেলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় স্থানীয় জন প্রতিনিধি এমনকি পুলিশের কাছেও। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি।
বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোচরে আসলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অপ্রয়োজনের করা বোনের হ্যাসাল, ভায়ের দেয়াল ভেঙ্গে উভয়ের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের আলোচনা করে প্রথমে কাউন্সিলিং করা হয়। পরে আলোচানক্রমে উভয়ের যাতায়াতে যাতে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে সেই ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু ওই জমিটি বন্টননামা নেই সেহেতু। খাজনা পরিশোধ করে বন্টননামাও করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভুমি সংক্রান্ত সার্বিক সহযোগিতা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়’।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিবাদে যাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে ব্যাপারে তাদের সর্তক করা হয়েছে এবং সুকি বেগমের পরিবার ত্রাণ পাওয়ার উপযোগি হওয়ায় সরকারি ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৫-২০