ক্ষেতে পাকা ধান নিয়ে ঝুঁকির শংকা > উদ্বোধনের পর দ্রুত ধান কাটার তাগিদ জেলা প্রশাসনের

উত্তরের বরেন্দ্র অঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশাল মাঠজুড়ে সোনালী ধানের সমারহ। দক্ষিণা বাতাসে মাঠের পর মাঠজুড়ে দোল খাওয়া কৃষকের বহু কষ্টের সোনার ধান এখন ঘরে তোলার পালা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কীটের আক্রমণের শংকাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা। বিকেলে সদর উপজেলার হোসেনডাঙ্গা গ্রামের ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক। ধান কাটা উদ্বোধনের পর দ্রুত সোনালী ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের তাগিদ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলায় ৪৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ কৃষি উপকরণের তেমন সমস্যা না থাকায় ধান আবাদে সংকট দেখা দেয়নি। আর ফলনও হচ্ছে আশানরূপ। জেলার ব্যাপক পরিমাণ জমিতে আবাদ হওয়া ধান কাটার উপযোগি হওয়ায় জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু করে। হোসেনডাঙ্গার কৃষক আব্দুল মোতালেবের জমিতে জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক ধান কাটার উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি এরফান আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা, কৃষি কর্মকর্তা সালেহ আকরাম।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, হোসেনডাঙ্গা আবাদ হওয়া বোরো ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২০ মন করে পাওয়া গেছে।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ধান কাটার তাগিদ দেয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে পাকা ধান ক্ষেতে রাখা খুবই ঝুঁকিপুর্ণ উল্লেখ করে দ্রুত তা কাটা ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে এবং সমস্যা থাকলে তা নিরসনের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ৩০-০৪-২০