ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত এক বাংলাদেশির মৃত্যু > লাশ মর্গে রাখার মতো যায়গা নেই
ইতালির মিলানে গতকাল শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক বাংলাদেশি। পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী তাঁর বয়স ৫০ হলেও ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, প্রায় ৬০ বছর বয়সী ছিলেন ওই ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ একজন জানান, এ মাসের প্রথম দিকে জ্বর হলে সাধারণ ফ্লু মনে করে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তেমন উন্নতি হয়নি। বরং ১১ মার্চ দুপুরে শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে বাসার মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তাঁর বাসায় থাকা আরেক বাংলাদেশি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মিলান নিগুয়ারদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর নবম দিনে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল করে চলে যান না–ফেরার দেশে। একই দিন মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর সংক্রমণ হয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। সেদিন তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস নেগেটিভ বলা হলেও গত বুধবার হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তিনিও সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এখনই হাসপাতালে না এসে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়।
একই সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয়, শরীরে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড বা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে আসতে। এদিকে ১১ মার্চ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া অপর বাংলাদেশিও সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
মৃত ওই ব্যক্তি ছেলে, স্ত্রী, এক মেয়ে এবং মেয়ের স্বামীসহ এক বাসায় থাকতেন। স্ত্রী এবং ছেলে গত বছর মিলান এসেছেন। বাংলাদেশে আরও ৩ মেয়ে আছে তাঁর।
শোকাবহ ঘটনার পর পরিবারের দুশ্চিন্তা এখন মরহুমের জানাজা-দাফন নিয়ে। এ ব্যাপারে মিলান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা জুনাইদ সুবহান বলেন, ‘রোববারের মধ্যে যদি দাফনের যায়গা জোগাড় করতে না পারি, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থাপনায় মৃতদেহের ব্যবস্থা করবে। কারণ, মর্গে রাখার মতো জায়গা নেই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ প্রথম আলো অন লাইন থেকে/ ২১-০৩-২০
ওই ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ একজন জানান, এ মাসের প্রথম দিকে জ্বর হলে সাধারণ ফ্লু মনে করে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তেমন উন্নতি হয়নি। বরং ১১ মার্চ দুপুরে শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে বাসার মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তাঁর বাসায় থাকা আরেক বাংলাদেশি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মিলান নিগুয়ারদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর নবম দিনে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল করে চলে যান না–ফেরার দেশে। একই দিন মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর সংক্রমণ হয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। সেদিন তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস নেগেটিভ বলা হলেও গত বুধবার হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তিনিও সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এখনই হাসপাতালে না এসে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়।
একই সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয়, শরীরে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড বা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে আসতে। এদিকে ১১ মার্চ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া অপর বাংলাদেশিও সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
মৃত ওই ব্যক্তি ছেলে, স্ত্রী, এক মেয়ে এবং মেয়ের স্বামীসহ এক বাসায় থাকতেন। স্ত্রী এবং ছেলে গত বছর মিলান এসেছেন। বাংলাদেশে আরও ৩ মেয়ে আছে তাঁর।
শোকাবহ ঘটনার পর পরিবারের দুশ্চিন্তা এখন মরহুমের জানাজা-দাফন নিয়ে। এ ব্যাপারে মিলান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা জুনাইদ সুবহান বলেন, ‘রোববারের মধ্যে যদি দাফনের যায়গা জোগাড় করতে না পারি, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থাপনায় মৃতদেহের ব্যবস্থা করবে। কারণ, মর্গে রাখার মতো জায়গা নেই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ প্রথম আলো অন লাইন থেকে/ ২১-০৩-২০