করোনাভাইরাস আতঙ্কে চালের দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি মিলাররা

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে সারাদেশে চালের দাম বাড়লেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিল মালিকরা। শুক্রবার বিকালে চাঁপাইনাববগঞ্জ সদর উপজেলা মিলনায়তনে এক মত বিনিময় সভায় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা চালের দাম বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখছে উল্লেখ করে এই প্রতিশ্রুতি দেন মিল মালিকরা। আর প্রশাসন বলছে, চালের বাজার অস্থিতিশীল করলে নেয়া হবে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম তাজকির উজ জামান। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম, জেলা চাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, নবাব ফুড প্রোডাক্টের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, জোসনারা অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী মোখলেসুর রহমান, বাশরী অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী সমিউল হক লিটনসহ অন্যরা।
সভায় চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের সুযোগে এই চালের দাম বাড়াতে চান না। বাজার স্থীতিশীল রাখতে প্রয়োজনে প্রশাসনের তত্ত্ববধানে ন্যয্যামূল্যের দোকান খোলা হবে। সেখানে প্রশাসনের বেধে দেওয়া দরেই বিক্রি করা হবে চাল। তবে আতঙ্কিত হয়ে ভোক্তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল না কেনার আহ্বান জানান।
চাল ব্যবসায়ীরা সভায় জানান, চালের দাম বৃদ্ধি পেলে ভোক্তারা মিল মালিকদের দায়ী করেন। প্রকৃতপক্ষে মিল মালিকরা দায়ী নয়। একটা মধ্যস্বত্ত্বভোগি চালের কৃত্রিম সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, শুক্রবার বাজার ঘুরে যেটা দেখেছেন চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে করোনা আতঙ্কে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চাল মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে কোনোভাবেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে দেয়া যাবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ কে এম তাজকির উজ জামান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগিদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। প্রয়োজনে তাদের গুদামে হানা দিবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাজার অস্থীতিশীল করার প্রমাণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০৩-২০