চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ইলিজারভ পদ্ধতিতে ভাঙা হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার
প্রথমবারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ইলিজারভ পদ্ধতিতে এক রোগীর ভাঙা হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এ সফল অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক্স সার্জারি ডা. ইসমাইল হোসেন। এ সময় তার সাথে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাদিম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
রোগীটি হলেন নাচোল উপজেলার ফুরশেদপুরের জিয়ারুল (৪২)। অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থ আছেন।
ডা. ইসমাইল হোসেন জানান, এখন থেকে তিনি নিয়মিত এ অপারেশন করার চেষ্ঠা করবেন। যদিও সদর হাসপাতালে এ অপারেশনের যন্ত্রপাতি নাই তিনি তার প্রাইভেট প্রাকটিসের যন্ত্রপাতি এনে এ অপারেশন করেছেন। তিনি আরো জানান, রাশিয়ায় আবিস্কৃত ইলিজারোভ অর্থোপেডিক্স শাস্ত্রের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। অর্থোপেডিক্স এ অন্য গতানুগতিক চিকিৎসার যেখানে শেষ, ইলিজারোভ চিকিৎসার সেখানে শুরু। এটা এমন এক পদ্ধতি যেখানে কেটে অপারেশন করতে হয়না। বাহির থেকে কিছু তার নিয়মমাফিক ভাঙা হাড়ের ভেতর প্রবেশ করানো হয়। এরপর রিংয়ের সাহায্যে সেই তারগুলোকে আটকিয়ে এক ধরনের টানার ব্যবস্থা করা হয়। তারগুলো ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গের মত কাজ করে। অপারেশনের পরের দিন থেকেই রোগী সম্পর্ন ভর দিয়ে হাঁটতে পারে । এই অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমে হাড় জোড়া লাগাতে সময় লাগে গড়ে ৪-৬ মাস। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এ অপারেশন সুবিধাজক।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট থাকলে আরো ভাল ভাল অপারেশন করা যাবে। এখানে জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট কম থাকায় আমরা অপারেশনগুলো করতে পারছিনা। ১০০ বেডের জনবল অনুযায়ী এখনো এখানে চিকিৎসক নাই। বিশেষ পুরো জেলাতে ১জন অ্যানেসথিয়া ডাক্তার। আর চক্ষু,নাক,গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় এখানে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট পেলে নিয়মিত অপারেশনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো। যাতে কোন রোগীকে অন্য জেলায় রেফার্ড করতে না হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০২-২০
রোগীটি হলেন নাচোল উপজেলার ফুরশেদপুরের জিয়ারুল (৪২)। অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থ আছেন।
ডা. ইসমাইল হোসেন জানান, এখন থেকে তিনি নিয়মিত এ অপারেশন করার চেষ্ঠা করবেন। যদিও সদর হাসপাতালে এ অপারেশনের যন্ত্রপাতি নাই তিনি তার প্রাইভেট প্রাকটিসের যন্ত্রপাতি এনে এ অপারেশন করেছেন। তিনি আরো জানান, রাশিয়ায় আবিস্কৃত ইলিজারোভ অর্থোপেডিক্স শাস্ত্রের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। অর্থোপেডিক্স এ অন্য গতানুগতিক চিকিৎসার যেখানে শেষ, ইলিজারোভ চিকিৎসার সেখানে শুরু। এটা এমন এক পদ্ধতি যেখানে কেটে অপারেশন করতে হয়না। বাহির থেকে কিছু তার নিয়মমাফিক ভাঙা হাড়ের ভেতর প্রবেশ করানো হয়। এরপর রিংয়ের সাহায্যে সেই তারগুলোকে আটকিয়ে এক ধরনের টানার ব্যবস্থা করা হয়। তারগুলো ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গের মত কাজ করে। অপারেশনের পরের দিন থেকেই রোগী সম্পর্ন ভর দিয়ে হাঁটতে পারে । এই অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমে হাড় জোড়া লাগাতে সময় লাগে গড়ে ৪-৬ মাস। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এ অপারেশন সুবিধাজক।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট থাকলে আরো ভাল ভাল অপারেশন করা যাবে। এখানে জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট কম থাকায় আমরা অপারেশনগুলো করতে পারছিনা। ১০০ বেডের জনবল অনুযায়ী এখনো এখানে চিকিৎসক নাই। বিশেষ পুরো জেলাতে ১জন অ্যানেসথিয়া ডাক্তার। আর চক্ষু,নাক,গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় এখানে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সার্পোট পেলে নিয়মিত অপারেশনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো। যাতে কোন রোগীকে অন্য জেলায় রেফার্ড করতে না হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০২-২০