হটাৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদ> সোনামসজিদে পাথর বন্ধ ২১ দিন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে আমদানিকারকরা। আগে পাথর আমাদানিতে ‘আলোচনার ভিত্তিতে’ ট্রাক প্রতি মাশুল আদাল করা হলেও হটাৎ করে বন্দর মাশুল বৃদ্ধি করায় লোকশানের আশংকায় গেল ১৭ নভেম্বর থেকে পাথর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে একসময় ব্যাপক পরিমাণ পাথর আসা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি পণ্যের ৯৫ ভাগই ছিল পাথর ও পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পাথর আমদানিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থলবন্দরজুড়ে এখন খাঁ খাঁ অবস্থা। এক সময়ে ভারতীয় আমদানি পণ্য লোড আনলোডে কর্মচাঞ্চল এই বন্দরে কার্যত দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের সবচেয়ে বড় পাথর বিক্রয় কেন্দ্র পাকুড় বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় এবন্দর দিয়ে খুব সহজ ও লাভজনক ছিল। পাথরও আসতো ব্যাপক হারে। আগে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথর আমদানীর ক্ষেত্রে যেহেতু আমদানীকারকরা নিজস্ব ইয়ার্ডে পাথর লোড আনলোড করতো সেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাথর আমদানীকারকরা আলোচনায় বসে ‘আলোচনার ভিতিতে’ ট্রাক প্রতি মাশুল আদায় করা হতো ৭৮৩ টাকা। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত হারে মাশুল আদায়ের চিঠি দিলে দেখা দেয় জটিলতা। ওই চিঠি অনুযায়ী এখন ট্রাকের পরিবর্তে টন প্রতি মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২ টাকা।
বন্দরের আমদানীকারক নোমান আলী বলেন, ‘ প্রতি ট্রাকে পাথর আসে ট্রাক ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টন। অর্থাৎ এখন টনের হিসেবে ট্রাক প্রতি বন্দর মাশুল দিতে হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। বর্ধিত এই মাশুল দিয়ে পাথর আমদানি করলে আমরা ব্যাপক লোকশানের মুখে পড়ব। সেই কারণে পাথর নিয়ে আসায় বন্ধ করে দিয়েছি। আমদানকারক হায়উল হক বলেন, ‘ ব্যাংকের লোন নিয়ে আমরা পাথর আমদানী করি। লোনের টাকা দিয়ে এলসি খুলি। এমনিতেই ব্যবসা বাণিজ্য কম। তার উপর বর্ধিত ট্যাক্স এই কারণে আমরা পাথর আমদানী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু ব্যাংক সুদতো বন্ধ থাকছেনা। আমরা বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’।
পাথর আমাদানীকারক গোলাম কিবরিয়া সোনু অভিযোগ করে বলেন, ‘ হটাৎকরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মাশুল বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বর্ধিত মাশুলের কারণে এবন্দরে এখন পাথর আমদানীতে খরচ বেশি হওয়ায় সোনামসজিদ থেকে আমদানিকারকরা চলে যাচ্ছেন অন্য বন্দরে। ফলে সোনামসজিদকে ঘিরে পাথর ব্যবসায় হুমকীর মুখে পড়েছে।
সোনামসজিদ স্থল বন্দরে দায়িত্ব পালনকারী পানামা পোর্ট লিংক কর্তৃপক্ষ বলছেন, বন্দরে যায়গা না হওয়ার কারণে বন্দর থেকে ২ কিলোমিটার বাইরে লোড আনলোড হতো এবং ট্রাকপ্রতি মাশুল আদায় হতো। এটা বন্দর আইনে পড়ে না। পাশাপাশি এতে করে সরকার প্রচুর রাজস্ব থেকে বঞ্ছিত হয়েছে।
আগের ম্যানেজমেন্ট বুঝতে না পারার কারণে ট্রাকপ্রতি মাশুল আদায় করেছে এমনটা স্বীকার করে সোনামসজিদ পানাম পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি প্রতি ট্যারিফের সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। সবসময় বন্দর মাশুল টন প্রতি হয়। কাজেই বন্দর আইন অনুযায়ী টন প্রতি ট্যারিফ ছাড়া কোন সুযোগ নেই’।
এদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বর্ধিত মাশুল কার্যকরের ফলে এই বন্দরে পাথর ব্যবসা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার পাশাপাশি কর্মহীন হতে বসেছে বন্দরের শত শত শ্রমিক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-১২-১৯
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি পণ্যের ৯৫ ভাগই ছিল পাথর ও পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পাথর আমদানিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থলবন্দরজুড়ে এখন খাঁ খাঁ অবস্থা। এক সময়ে ভারতীয় আমদানি পণ্য লোড আনলোডে কর্মচাঞ্চল এই বন্দরে কার্যত দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের সবচেয়ে বড় পাথর বিক্রয় কেন্দ্র পাকুড় বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় এবন্দর দিয়ে খুব সহজ ও লাভজনক ছিল। পাথরও আসতো ব্যাপক হারে। আগে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথর আমদানীর ক্ষেত্রে যেহেতু আমদানীকারকরা নিজস্ব ইয়ার্ডে পাথর লোড আনলোড করতো সেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাথর আমদানীকারকরা আলোচনায় বসে ‘আলোচনার ভিতিতে’ ট্রাক প্রতি মাশুল আদায় করা হতো ৭৮৩ টাকা। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত হারে মাশুল আদায়ের চিঠি দিলে দেখা দেয় জটিলতা। ওই চিঠি অনুযায়ী এখন ট্রাকের পরিবর্তে টন প্রতি মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২ টাকা।
বন্দরের আমদানীকারক নোমান আলী বলেন, ‘ প্রতি ট্রাকে পাথর আসে ট্রাক ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টন। অর্থাৎ এখন টনের হিসেবে ট্রাক প্রতি বন্দর মাশুল দিতে হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। বর্ধিত এই মাশুল দিয়ে পাথর আমদানি করলে আমরা ব্যাপক লোকশানের মুখে পড়ব। সেই কারণে পাথর নিয়ে আসায় বন্ধ করে দিয়েছি। আমদানকারক হায়উল হক বলেন, ‘ ব্যাংকের লোন নিয়ে আমরা পাথর আমদানী করি। লোনের টাকা দিয়ে এলসি খুলি। এমনিতেই ব্যবসা বাণিজ্য কম। তার উপর বর্ধিত ট্যাক্স এই কারণে আমরা পাথর আমদানী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু ব্যাংক সুদতো বন্ধ থাকছেনা। আমরা বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’।
পাথর আমাদানীকারক গোলাম কিবরিয়া সোনু অভিযোগ করে বলেন, ‘ হটাৎকরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মাশুল বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বর্ধিত মাশুলের কারণে এবন্দরে এখন পাথর আমদানীতে খরচ বেশি হওয়ায় সোনামসজিদ থেকে আমদানিকারকরা চলে যাচ্ছেন অন্য বন্দরে। ফলে সোনামসজিদকে ঘিরে পাথর ব্যবসায় হুমকীর মুখে পড়েছে।
সোনামসজিদ স্থল বন্দরে দায়িত্ব পালনকারী পানামা পোর্ট লিংক কর্তৃপক্ষ বলছেন, বন্দরে যায়গা না হওয়ার কারণে বন্দর থেকে ২ কিলোমিটার বাইরে লোড আনলোড হতো এবং ট্রাকপ্রতি মাশুল আদায় হতো। এটা বন্দর আইনে পড়ে না। পাশাপাশি এতে করে সরকার প্রচুর রাজস্ব থেকে বঞ্ছিত হয়েছে।
আগের ম্যানেজমেন্ট বুঝতে না পারার কারণে ট্রাকপ্রতি মাশুল আদায় করেছে এমনটা স্বীকার করে সোনামসজিদ পানাম পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি প্রতি ট্যারিফের সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। সবসময় বন্দর মাশুল টন প্রতি হয়। কাজেই বন্দর আইন অনুযায়ী টন প্রতি ট্যারিফ ছাড়া কোন সুযোগ নেই’।
এদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বর্ধিত মাশুল কার্যকরের ফলে এই বন্দরে পাথর ব্যবসা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার পাশাপাশি কর্মহীন হতে বসেছে বন্দরের শত শত শ্রমিক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-১২-১৯