আন্তঃনগর ট্রেনের চালকের আসনেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথম ছেড়ে যাওয়া জেলাবাসীর স্বপ্নের আন্তঃনগর ট্রেন চালিয়ে গেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই দু’ কৃতি সন্তান। চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর আন্তঃনগর ট্রেনকে ঘিরে স্বপ্নজয়ের যে ইতিহাস কাকতলীয়ভাবে সেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন ট্রেনের লোকো মাস্টার অর্থাৎ চালক সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল জলিল।
প্রথম দিনে ২০০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা করা বনলতা এক্সপ্রেসের চালক সাইফুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শাহীবাগে এবং সহকারী চালক আব্দুল জলিলের বাড়ি সদর উপজেলার দেবীনগরে।
নিজ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবির প্রাপ্তি যে ট্রেন সেই চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে গর্বানুভূতি জানিয়েছেন এই দু’ চালক।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শাহীবাগ চৌধুরীপাড়ার আব্দুস শুকুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আব্দুল শুকুরও ছিলেন ট্রেনের লোকো মাস্টার অর্থাৎ চালক। সাইফুল বাবাকে দেখে অনুপ্রেরণা পান লোকো মাস্টার হওয়ার। সাইফুলের সব ছোটভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিষয়ে অধ্যয়নরত। মাস্টার্স পাস একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড়ভাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। ছোট এক ভাই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে জাপান প্রবাসী। আরেক ছোটভাই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশারিজে স্নাতকোত্তর।
হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের এসএসসি ব্যাচের ছাত্র সাইফুল ইসলাম জানান, তার লোকো মাস্টার হওয়ার পেছনে বাবার অবদানই বেশি। কেননা তার বাবাও লোকো মাস্টার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন।
সহকারী লোকো মাস্টার আ. জলিলের বাড়িও জেলার সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামে। ২০১১ সালে তিনি সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে রেলওয়েতে যোগ দেন। শুরু থেকেই আছেন বনলতা এক্সপ্রেসের সঙ্গে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের বহুকাংখিত ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথম ছেড়ে যাবে এমন ঘটনার স্বাক্ষী হতে খুব ভোরেই রেল স্টেশন গেছিলেন বিভিন্ন এলাকার অনেকেই। এমনই একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাক হোসেন স্টেশনে গিয়ে দেখেন চালকের আসনে তার বাল্যবন্ধু সাইফুল ইসলাম। আনন্দিত মোস্তাক তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘ বহুদিন ধরে এই ট্রেনের জন্য আমরা অপেক্ষ করেছি। আজ আমাদের দাবি পুরণ হয়েছে। দাবি পুরণের এই ট্রেনের প্রথম যাত্রায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ যাত্রী হয়ে ঢাকা যাচ্ছেন তার চালকও আমার বাল্যবন্ধু। এ এক দারুণ অনুভূতি’।
রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের প্রথম যাত্রা দেখতে আসা নাগরিকরা নতুন প্রত্যাশ ব্যক্ত করে জানিয়েছে, একটা ট্রেন পাওয়া গেল। এখন জেলাবাসী প্রত্যাশা করছে আরো দু তিনটি ট্রেনের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০৭-১৯
প্রথম দিনে ২০০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা করা বনলতা এক্সপ্রেসের চালক সাইফুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শাহীবাগে এবং সহকারী চালক আব্দুল জলিলের বাড়ি সদর উপজেলার দেবীনগরে।
নিজ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবির প্রাপ্তি যে ট্রেন সেই চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে গর্বানুভূতি জানিয়েছেন এই দু’ চালক।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শাহীবাগ চৌধুরীপাড়ার আব্দুস শুকুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আব্দুল শুকুরও ছিলেন ট্রেনের লোকো মাস্টার অর্থাৎ চালক। সাইফুল বাবাকে দেখে অনুপ্রেরণা পান লোকো মাস্টার হওয়ার। সাইফুলের সব ছোটভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিষয়ে অধ্যয়নরত। মাস্টার্স পাস একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড়ভাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। ছোট এক ভাই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে জাপান প্রবাসী। আরেক ছোটভাই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশারিজে স্নাতকোত্তর।
হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের এসএসসি ব্যাচের ছাত্র সাইফুল ইসলাম জানান, তার লোকো মাস্টার হওয়ার পেছনে বাবার অবদানই বেশি। কেননা তার বাবাও লোকো মাস্টার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন।
সহকারী লোকো মাস্টার আ. জলিলের বাড়িও জেলার সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামে। ২০১১ সালে তিনি সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে রেলওয়েতে যোগ দেন। শুরু থেকেই আছেন বনলতা এক্সপ্রেসের সঙ্গে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের বহুকাংখিত ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথম ছেড়ে যাবে এমন ঘটনার স্বাক্ষী হতে খুব ভোরেই রেল স্টেশন গেছিলেন বিভিন্ন এলাকার অনেকেই। এমনই একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাক হোসেন স্টেশনে গিয়ে দেখেন চালকের আসনে তার বাল্যবন্ধু সাইফুল ইসলাম। আনন্দিত মোস্তাক তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘ বহুদিন ধরে এই ট্রেনের জন্য আমরা অপেক্ষ করেছি। আজ আমাদের দাবি পুরণ হয়েছে। দাবি পুরণের এই ট্রেনের প্রথম যাত্রায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ যাত্রী হয়ে ঢাকা যাচ্ছেন তার চালকও আমার বাল্যবন্ধু। এ এক দারুণ অনুভূতি’।
রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের প্রথম যাত্রা দেখতে আসা নাগরিকরা নতুন প্রত্যাশ ব্যক্ত করে জানিয়েছে, একটা ট্রেন পাওয়া গেল। এখন জেলাবাসী প্রত্যাশা করছে আরো দু তিনটি ট্রেনের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০৭-১৯