চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি

ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’র প্রভাবে সোমবার সকালে থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশে মেঘ থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তর কোণ থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস শীতের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’র প্রভাবে সকাল থেকে থেমে থেমে গুলি গুলি বৃষ্টি হয়েছে।
এবার অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মেই শীত নেমেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মিলেছে শীতের আমেজ। কিন্তু যে হারে শীত পড়ার কথা ছিল, সেভাবে অনুভূত হয়নি। তবে পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও আকাশে মেঘ থাকায় ভোর থেকে ঠাণ্ডা পড়ছে।
আকাশে ঘন মেঘের কারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘলা  আবহাওয়ায় শীতের দাপট বাড়ায় কাঁপছে পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউ মার্কেটের ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এজন্য সকাল থেকে নিউ মার্কেট শহীদ সাটুহল মার্কেটসহ রেল স্টেশন এলাকায় পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে বেচা-কেনা জমে উঠেছে। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী সবাই গরম কাপড় কিনছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেণাগারের পর্যবেক লতিফা হেলেন বলেন, তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’র প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। যেকোনো সময় বৃষ্টিও নামতে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেণাগারের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার শীত বেশি অনুভূত হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আকাশে মেঘ রয়েছে তাই মনে হচ্ছে শীত পড়ছে। অনেকেই মনে করছেন তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত কারণ হচ্ছে মেঘলা আকাশ।
জানতে চাইলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিসের এ কর্মকর্তা বলেন, মেঘ কাটলে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দুইটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন তাপমাত্রাও অনেক কমে আসবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৭-১২-১৮