চাঞ্চল্যকর শ্যামলী হত্যামামলার সন্দেহভাজন আসামী টুটুলকে রিমান্ডে নিতে পুলিশের আবেদন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের রশিকনগর শিরোটোলা গ্রামে শ্যামলী খাতুন (১৬) হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় জনতা কর্তৃক আটকের পর পুলিশের কাছে সোপার্দ আসামীদের মধ্যে টুটুলকে ঘিরে হত্যা রহস্য উদঘাটনের দিকে এগুচ্ছে পুলিশ। টুটুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ ‘খ’ আমলী আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত থেকে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
গেল ২০ মে দিবাগত গভীর রাতে নিজবাড়িতে ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় রশিকনগর শিরোটোলা গ্রামের কবির হোসেনে মেয়ে ও পার ঘোড়াপাখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শ্যামলী খাতুনকে। এরপর গত ২৩ মে ভোরে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকাবাসী স্থানীয় চার যুবক ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ও শ্যামলীর মামাতো ভাই টুটুল আলী (২২) , নাজমুল হকের ছেলে দুরুল (২৩) ও রশিকনগর উচুডিহির বেলায়েত আলীর ছেলে মুকুল (২৭) এবং বিনোদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওইদিনই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক চারজনের মধ্যে সোহাগকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, ‘সন্দেহজনকভাবে’ আটক ওই তিনজনের মধ্যে টুটুলকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশ) কবির হোসেন টুটুলকে জিজ্ঞাসাদের জন্য আদালতে ১০ দিনে রিমান্ড আবেদন করেছেন। তিনি জানান, টুটুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শ্যামলী হত্যার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন হতে পারে। এছাড়া ওইদিনের ঘটনায় মামলার বাদি আলিয়ারা বেগম ও তার দুই মেয়ের গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ ভরি ওজনের রূপার নূপুরসহ চুরি হয়ে যাওয়া দুটি স্যামসাং টাচ্ মোবাইল ফোন উদ্ধার করাও সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, ওই দিন চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারসহ হত্যাকা-ের জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে কন্যা হত্যাকান্ডের ঘটনার পর বাড়ি ফিরে আসা শ্যামলীর প্রবাসী পিতা কবির হোসেন মেয়ের হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের বের করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭-০৫-১৮

,