ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রিয়মুখ সানাউল হক পিন্টু আর নেই

৭৫ পরবর্তী ছাত্রলীগ পুর্ণগঠনের অগ্রসৈনিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রিয়মুখ সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা সানাউল হক পিন্টু (৬৪) আর নেই। শনিবার সকালে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান।
সানাউল হক পিন্টু চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সেরাজুল হক ওরফে শনি মিয়ার ছেলে ও শহরের মনিমুল হক সড়কের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজের পর তাঁকে নামোশংকরবাটী গোরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রয়াত সানাউল হক পিন্টু, ১৯৭৫ সালেরর ১৫ আগষ্ট জাতির মর্মান্তিক বিয়োগান্তের পর বলিষ্ঠতার সঙ্গে ছাত্রলীগের হাল ধরেন। সফল এই সংগঠক ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
ছাত্র সংগঠক পিন্টু, ছাত্র সংগঠকের পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জর শহরের পুরাতন সামাজিক সংগঠন সবুজ সংঘের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
সানাউল হক পিন্টুর ঘনিষ্ট বন্ধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের  সমাজসেবক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ভোতা জানান, ১৯৬৯ সালে শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় সবুজ সংঘ নামে একটি ক্লাব। এর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন সানাউল হক। তাঁর নেতৃত্বের গুণে ক্লাবটি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখে। অল্পদিনেই গোটা চাঁপাইনবাবগঞ্জে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি একজন সৎ, বিনয়ী ও সুবক্তা ছিলেন। চাকরির ক্ষেত্রেও তিনি সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
চাঁপাইনববাবগঞ্জের শোকাহত সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে কথা হয় খায়রুল আলম, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কামাল উদ্দীন, শহীদুল হুদা অলকসহ আরো অনেকের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, পিন্টু ভাই শুধু নিজ সংগঠনেই নয়, অন্য সংগঠনের সদস্যদের কাছেও প্রিয় ছিলেন। তিনি একজন অনুসরণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মত জ্ঞান চর্চাকারী ছাত্রনেতা আর দেখা যায় না।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০২-১৮