পানি সরবরাহ ছাড়া পৌরসভার সব সেবা বন্ধ > সন্ধ্যায় বন্ধ ছিল সড়ক বাতিও

রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতা প্রদান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ছাড়া সব সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্মবিরতীর দ্বিতীয় দিনে সোমবার সন্ধ্যায় ঘন্টাব্যাপি সড়ক বাতিও বন্ধ ছিল।  তিনদিনের এই কর্মবিরতীর কারণে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরসভায় সেবা নিতে আসা নাগরিকরা।
সোমবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাসহ অন্যান্য পৌরসভার কর্মচারীরা পৌরসভায় কাজে যোগদান না করে স্ব স্ব পৌরসভায় সমাবেশে মিলিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে কর্মবিরতিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার, একদফা দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সচিব মামুন-অর রশিদ, সদস্য সচিব জহির উদ্দীন, হিসাব রণ কর্মকর্তা আহসান হাবীব, সহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। কর্মবিরতির ফলে পৌরসভায় শুধু পানি সরবরাহ কার্যক্রমসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সমাবেশ থেকে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের এক দফা মেনে নেয়ার দাবি জানানো হয়।
শিবগঞ্জ
একদফা একদাবি আদায়ের লে সারাদেশের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভাতেও সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিনদিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলছে। বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের আহবায়নে দ্বিতীয় দিন সোমবার সকাল থেকে শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে নিচে বসে কর্মবিরতি শুরু করে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশন। শিবগঞ্জ পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মবিরতিকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন, কোষাধ্য ইসরাফিল হকসহ ৩৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
শিবগঞ্জ পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন জানান, সকল কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে সকল সরকারী সুবিধা ভোগ করে কিন্তু আমরা একই রকম পরিশ্রম করে সেই সুবিধা ভোগ করতে পারিনা। অবিলম্বে আমাদের সরকারি কোষাগার হতে বেতন ভাতা প্রদানের দাবি জানান তিনি।
এদিকে সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হলে সেবা পেতে আসা অনেক পৌর নাগরিকদের ফিরে যেতে দেখা যায়। ফলে নাগরিকরা চরম দূর্ভোগে পড়ে যায়। সেবা পেতে আসা মোসা. রাজিয়া সুলতানা বলেন ‘এরআগেও এসে দেখি যে এমন কর্মবিরতি চলছে আর আমরা বারবার ফিরে যাচ্ছি এটা ভাল না বরং আমাদের দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে’।
নাচোল
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতাপ্রদান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবিতে সারা দেশের মত তিনদিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে নাচোল পৌরসভার কর্মকর্তাও কর্মচারীরা।কর্মবিরতির ২য় দিনে,কর্মবিরতির কারনে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে নাচোল পৌরসভায় সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।সোমবার সকালে নাচোল পৌরসভার প্রধান গেইট বন্ধ করে কর্মবিরতির ২য় দিনে অংশ নিয়েছে ,পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ,সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আলী,হিসাব রক্ষক সোহেল রানা,প্রধান সহকারি মনোয়ারা খাতুন, লাইসেন্স পরিদর্শক আহসান হাবিব, কর্মবিরতির সেক্রেটারি জোহরুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য কর্মচারীরা।
রহনপুর
রহনপুর পৌরসভা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েসনের টানা ৩ দিন এর কর্মবিরতী দ্বিতীয় দিনে পৌরসভার গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে । এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ছিলেন পৌরসচিব খাইরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েম,রহনপুর পৌরসভা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েসনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন,সৈয়দ আব্দুল মুকিত আপেল, মুঞ্জুর কাদের , শ্রী নিপুল প্রমুখ। বক্তারা রাষ্টীয় কোষাগার থেকে বেতন ভাতার দাবী মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৯-০১-১৮

, , ,