নাচোল পুলিশের অভিযোগপত্র > সাংবাদিকের আদালতে নারাজি

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন দিলু ও দৈনিক খোলা কাগজ’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুর রবসহ চারজনের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলামকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমলী আদালতে (গ অঞ্চল) গতকাল বুধবার নারাজি দাখিল করা হয়েছে। আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস আগামী ১৩ মার্চ আদেশের দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন আদালতে অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফাছির উদ্দীন বাদী, আক্রান্ত ব্যক্তি ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ না করে, তাঁদের না জানিয়ে  নিজের মনগড়া স্বাক্ষী সাজিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নাচোল উপজেলার মানিকাড়া গ্রামে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম (টি ইসলাম) খনন করা একটি পুকুরের কারণে ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১৫/২০ বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারছে না জমির মালিকরা। এছাড়া অন্যের জমির পাশে গভীর নালা কেটে চাষাবাদ বিঘিœত করারও চেষ্টা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে আরো জানা যায়, এলাকার তিন পুকুরা নামে আলাদা তিনটি খাস পুকুর কেটে একীভূত করে দখল করে নিয়েছে টি ইসলাম। এমন সংবাদ পেয়ে মানিকাড়া গ্রামে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত ২৬ আগস্ট আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রব, আলী উজ্জামান নূরসহ আদিবাসী নেতা বঙ্গপাল সর্দার ও হিংগু মুরমুকে সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামে তথ্যানুসন্ধানে যান এবং পুকুরসহ ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, জমিজমা, রাস্তার ছবি তুলে ফেরার পথে গ্রামের হেয়ারিং বন্ড রাস্তার কাছে পৌঁছামাত্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টি ইসলামের নির্দেশে তাঁর ভাড়াটিয়া বাহিনী চারজনের উপরে হামলা চালায়। হামলায় অংশ নেয় মানিকাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মো. ইকবাল (৪০), নাচোলের লক্ষিপুর গ্রামের মো. কিবরিয়া (৩৮), সদর উপজেলার টংপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আব্দুল খালেক ওরফে হাবু (৩৫), এন্তাজ মিস্ত্রির ছেলে গোলাম রাব্বানী (৪৫), পৌর এলাকার মো. বকুল (৩০) ও মো. সানাউল (৩০) ও অজ্ঞাত আরো তিন/চারজন। এসময় হামলাকারীরা আনোয়ার হোসেনের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, আলী উজ্জামান নূরের কাছে থেকে একটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন এবং আব্দুর রবের কাছে থাকা একটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন দিলু বাদী হয়ে নাচোল থানায় গত ২৮/৮/২০১৬ তারিখে মামলা দায়ের করেন। গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দীন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০৩-১৭