শিবগঞ্জ সীমান্তে পেয়ারা চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন ৪ কৃষক

শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করে গত তিন বছরে  ১০ লাখ টাকা লোকসান হলেও হাল ছাড়েনি ৪ জন পেয়ারা চাষী। ৮ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে পেয়ারা চাষেযুক্ত ৪ চাষী সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন।
একেবারে সীমান্তে ঘেষা মাসুদপুর কোদার মাঠে গড়ে তোলা পেয়ারা বাগানে কথা হয়, পেয়ারা চাষী জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহরাব হোসেন ও নকির হোসেনের সঙ্গে। তারা জানান, টেলিভিশনে ও রেডিওতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান দেখে ও শুনে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে  ৪জন থাই পেয়ারা চাষের সিন্ধান্ত নেন। প্রতিবছর বিঘা প্রতি ৫হাজার টাকা দরে ৮ বছরের জন্য ৬০বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তারা শুরু করেন পেয়ারা চাষ।
২০১৩ সালে নাটোরসহ বিভিন্ন যায়গা থেকে  ১০টাকা দরে সাড়ে আট হাজার থাই পেয়ারার চারা সংগ্রহ করেন।
তারা জানান, প্রথমে জমি তৈরী করে চারাগুলো রোপন করার পর একবছরের মাথায় সামান্য কিছু পেয়ারা ফল পাওয়া গেছিল। ২০১৫ সালে ১৫ লাখ টাকার থাই পেয়ারা বিক্রি করেন তারা। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রচুর ফল ধরলেও অজ্ঞাত রোগে আক্্রান্ত হয়ে পেয়ারা ফল পাকার আগেই পচন দেখা দিলে তারা লোকসানের মুখে পড়েন। এ বছর মাত্র ৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেন।
তারা বলেন, ‘ গত ৩ বছরে লোকসান হলেও হাল ছাড়চ্ছি না আমরা। কারণ আমরা আশাবাদী। সামনে ৫ বছরে খরচ বাদে ৬০ লাখ টাকা লাভ করতে পারবো’।
তারা জানান, তাদের পেয়ারা বাগানে প্রায় ৪০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা সারা বছর এ জমিতেই কামলা হিসাবে কাজ করে দৈনিক ৩শ টাকা করে উপার্জন করতে পারে।
পেয়ারা চাষী সোহরাব আলী বলেন, ‘ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পেয়ারা গাছ মারা যাওয়া এবং পেয়ারা পাকার আগে পঁচে নষ্ট হয়ে যাওার কারণেই মূলত আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। তবুও আমরা আশাবাদি। একদিন সাফল্য পাবই’।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা আমিনুজ্জামান জানান, পেয়ারার চাষ করে কৃষকদের লোকসান হওয়ার কথা নয়, যদি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ঠিকমত চাষাবাদ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ তাদের ওই পেয়ার বাগানের বিষয়টি আমার জানাছিলনা। কি কারণে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন তা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৪-১২-১৬

,