প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স > কথা হলোনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সঙ্গে

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৬৬ পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত এই ভিডিও কনফারেন্সে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী ‘সময় সল্পতার’ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।
ভিডিও কনফারেন্সকে ঘিরে দুপুর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্ধারিত স্থানগুলোয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষ জমায়েত হতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের সরাসরি কথা হবে এমন ধারণায় হাজার হাজার নারী-পুরুষ জমায়েত হয় ৬৬ পয়েণ্টের মধ্যে প্রধান প্রধান আয়োজনস্থলে।
 শহরের হরিমোহন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মঈনুদ্দিন মন্ডল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান, ৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুল এহসান, পুলিশ সুপার টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম, শিবগঞ্জ মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুর রহমান বাবু, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইফতেখার উদ্দিন শামীম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কল্যাণ চৌধুরী, গোমস্তাপু উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, জন প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কার্যক্রম শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী ৮ জেলার মানুষের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এতে সরকারের তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বজায় রাখতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কথা বলার সুযোগ পান নাটোর জেলা। নাটোরের সংসদ সদস্য ও সরকারের প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমদ পলক, নাটোর জেলা পরিষদ প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের কথা বলার পর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয় জয়পুর হাট জেলা। এইভাবে রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে ৫ টি জেলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ লাভ করেন। বাদ পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ তিনটি জেলা। সূত্র জানিয়েছে, সময় সল্পতার কারণে কথা বলার সুযোগ পায়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ। ওই সুত্র জানায়, সংসদ সদস্যসহ ৪ জন কথা বলবেন এমন প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। এর বাইরে একজন ধর্মীয় নেতা ও একজন নারী প্রতিনিধি কথা বলতে পারেন এমনটাও আলোচনায় ছিল।
এদিকে, আমাদের শিবগঞ্জ প্রতিবেদক সফিকুল ইসলাম সফিক, ভোলাহাট প্রতিবেদক তাজামুল হক আরাফাত, নাচোল প্রতিবেদক নুরুল ইসলাম বাবু ও গোমস্তাপুর থেকে সংবাদদাতা নুর ইসলাম জানান, উপজেলাগুলোর সব আয়োজনই ছিল জাকজমকপূর্ন। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা যায় ব্যাতিক্রমি এই আয়োজনকে ঘিরে। জনগনের উপস্থিতিও ছিল ব্যাপক। 
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জজুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-১১-১৬