দায়িত্ব নেওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে মেয়র
দ্বায়িত্ব গ্রহনের ৩ ঘন্টা মধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও সাবেক জেলা
আমির নজরুল ইসলামকে আবারো করাগারে পাঠিয়েছে আদালত। নির্বাচিত হওয়ার ১১
মাসের মাথায় হাইকোর্টের আদেশে তিনি রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পৌর
মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন। ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়রের দ্বায়িত্বে থাকা
সাইদুর রহমান তাকে দ্বায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এই সময় পৗর কাউন্সিলর
বৃন্দ,পৌর সচিব মামুন উর রশিদ,নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামসহ পৌরসভার
বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পৌর মেয়রের দ্বায়িত্ব গ্রহনের সময় পৌরসভার বাইরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেন। পৌর মেয়র নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পৌরসভার মেয়রের ব্যবহৃত গাড়িতে করেই আদালতে আসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট জুয়েল অধিকারির আদালতে দুপুর ১টার দিকে তার বিরুদ্ধে থাকা একটি বিস্ফোরক মামলায় আতœসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। এই সময় আদালত তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চামাগ্রামে একটি নৈশবিদ্যালয় থেকে ১ আগস্ট ৩১ টি ককটেল ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডারসহ জামাযাত শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন নজরুল ইসলাম।
মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে বেশ কিছু মামলায় জামিন নিয়ে তিনি আজই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রাহন করেছিলেন। দায়িত্বগ্রহনের তিন ঘন্টার মধ্যেই আবারো তাকে কারাগাওে যেতে হল।
সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালায়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপ সচিব মো. আব্দুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। পত্রে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগের ৯/৩/২০১৬ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে তিনি ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রীট পিটিশনে বরখাস্ত আদেশের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ বাস্তবায়নের জন্য মামলার বাদী কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করেন। কনটেম্পট প্রসেডিং না হওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত মেয়রকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদানের জন্য বলা হয়। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত স্থগিতাদেশ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
এ দিকে নজরুল ইসলামের আইনজীবী এ্যাড.আব্দুর ওদুদ ও এ্যাড.শফিক এনায়েতুল্লাহ জানান, এ বছরের ২ আগষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় (সদর থানা মামলা নং- ৩ ও জি আর ৪০৬/১৬ নবাব) হুকুমের আসামী করা হয় নজরুল ইসলামকে। সেই মামলায় তিনি দুপুর ১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট জুয়েল অধিকারির আদালতে আতœসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আরো জানান, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উচ্চ আদালতে আবারো জামিনের আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ৩০ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩১ হাজার ৫শ’ ভোট পেয়ে মো. নজরুল ইসলাম মেয়র পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু ত^ার নামে নাশকতাসহ কয়েকটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-১১-১৬
এদিকে পৌর মেয়রের দ্বায়িত্ব গ্রহনের সময় পৌরসভার বাইরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেন। পৌর মেয়র নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পৌরসভার মেয়রের ব্যবহৃত গাড়িতে করেই আদালতে আসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট জুয়েল অধিকারির আদালতে দুপুর ১টার দিকে তার বিরুদ্ধে থাকা একটি বিস্ফোরক মামলায় আতœসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। এই সময় আদালত তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চামাগ্রামে একটি নৈশবিদ্যালয় থেকে ১ আগস্ট ৩১ টি ককটেল ও ৫০০ গ্রাম গান পাউডারসহ জামাযাত শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন নজরুল ইসলাম।
মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে বেশ কিছু মামলায় জামিন নিয়ে তিনি আজই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রাহন করেছিলেন। দায়িত্বগ্রহনের তিন ঘন্টার মধ্যেই আবারো তাকে কারাগাওে যেতে হল।
সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালায়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপ সচিব মো. আব্দুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। পত্রে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগের ৯/৩/২০১৬ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে তিনি ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রীট পিটিশনে বরখাস্ত আদেশের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ বাস্তবায়নের জন্য মামলার বাদী কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করেন। কনটেম্পট প্রসেডিং না হওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত মেয়রকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদানের জন্য বলা হয়। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত স্থগিতাদেশ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
এ দিকে নজরুল ইসলামের আইনজীবী এ্যাড.আব্দুর ওদুদ ও এ্যাড.শফিক এনায়েতুল্লাহ জানান, এ বছরের ২ আগষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় (সদর থানা মামলা নং- ৩ ও জি আর ৪০৬/১৬ নবাব) হুকুমের আসামী করা হয় নজরুল ইসলামকে। সেই মামলায় তিনি দুপুর ১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট জুয়েল অধিকারির আদালতে আতœসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আরো জানান, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উচ্চ আদালতে আবারো জামিনের আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ৩০ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩১ হাজার ৫শ’ ভোট পেয়ে মো. নজরুল ইসলাম মেয়র পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু ত^ার নামে নাশকতাসহ কয়েকটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-১১-১৬