বণিক সমিতির খসড়া তালিকায় ‘ভুয়া’ ভোটার > আপিল বোর্ডের রহস্যজনক পদত্যাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ‘ভুয়া’ ভোটারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দু’ ব্যবসায়ীর অভিযোগের নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ড অনুসন্ধানে এ অস্তিত্ব খুজে পেয়েছে। এদিকে, আপিল শুনানী শেষে আপিল বোর্ডের তিন সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। বণিক সমিতি’র সংশ্লিষ্টরা এই পদত্যাগকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে সামনে নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকা মোট ভোটার রয়েছে ৮৯১ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই চেম্বারের সদস্য ও রাবেয়া জুট মিলের সত্ত্বাধিকারী রেজাউল করিম ও সোনামসজিদ ট্রোডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈবুর রহমান ১৩ জন ভোটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। এর মধ্যে আপিল বোর্ড ১০ জনকে ‘বির্তকিত’ ভোটার হিসেবে সনাক্ত করেন। ওই সময় চেম্বারের সদস্য ও এসআর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করে খসড়া তালিকার সব ভোটারের টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজ পত্র পরীক্ষার দাবি জানান।
এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব ভোটারের পরীক্ষা করা সম্ভব নয় এমনটা উল্লেখ করে ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তির নিষ্পত্তি না করেই পদত্যাগ করেছেন আপিল বোর্ডের তিন সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট শাহজাহান হোসেন, শেখ শামসুল ইসলাম টিপু পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগের আগে বোর্ডের প্রধান অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা জানান, উ™ভুত পরিস্থিতি এড়াতেই তারা পদত্যগ করলেন।
বুধবার বণিক সমিতি ভবনে অভিযোগ উল্ডাপনকারীরা বলেন, ‘৮৯১ জন ভোটারের মধ্যে সিংহভাগই অবৈধ ভোটার রয়েছে খসড়া তালিকায়। ক্ষমতা কুিক্ষগত করে রাখতে চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ অবৈধ পন্থায় এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজস করে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন’।
তবে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সদস্যদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নির্বাচন বানচাল করতেই কতিপয় সদস্য এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
এদিকে, বণিক সমিতি নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সোলায়মান বিশু কুয়েতে অবস্থান করায় এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সহকারী কমিশনার অ্যাডভোকেট আবদুল ওদুদও সাংবাদিকদের এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে, বণিক সমিতি’র নির্বাচনে নিয়োগকৃত আপিল বোর্ডের সদস্যরা সমিতি’র নির্বাচন কমিশনে পদত্যাগ না করে বণিজ্য মন্ত্রানালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন বরাবরে পদত্যাগ করা সমিতি’র একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্য এটিকে রহস্যজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৯-১১-১৬