অন্ধকার দূর করে শুভ’র জন্য আরাধনা শেষে জেলাজুড়ে শ্যামা পুজো’র প্রতিমা বিসর্জন

অন্ধকার দূর করে আলো’র জন্য আরাধনাসহ নানান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পুজো। রোববার থেকে শান্তিপুর্ণভাবেই দেয়া হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জন।
জেলা পুজো উযাযাপন কমিটির সভাপতি বাবুল কুমার ঘোষ জানান, জেলায় এবার ১০১টি মন্ডপে শ্যামা বা কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় রয়েছে ২৬টি মন্ডপ। শনিবার রাতে প্রতিমাগুলি মন্ডপে তোলা হয়। রবিবার থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা জোড়ামঠ ঘাটে মহানন্দা নদীতে বিকেল তিনটায় বিসর্জন দেয়া হয় জেলার অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন ‘বুড়ো কালী মাতা’র প্রতিমা। এ সময় বিভিন্ন বয়সী হাজারও নারী-পুরুষ ভক্তদের সমাগম হয় সেখানে। তারা নেচে গেয়ে আরাধনা করে চোখের জলে মা কালীকে বিদায় জানান। বুড়ো কালী মাতা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ কুমার মন্ডল জানান, এটি জেলার ঐতিহ্যবাহী মন্ডপ। ১২৪৫ বঙ্গাব্দ থেকে এই মন্দিরে শ্যামা পূজো হয়ে আসছে। এটি বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে জেলায় পুজো বিসর্জন শুরু হল। ভক্তদের একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্সে  মাষ্টার্স পরীক্ষা শেষ করা আনন্দ শংকর রায় চৌধুরী জানান, অন্ধকার অমাবস্যা রাতে পুজো প্রতিমাগুলি মন্ডপে মন্ডপে ওঠানো হয়। মন্ডপে জ্বলে ওঠে দ্বীপ শিখা। শ্যামা পুজোয় আরাধনা করা হয় শক্তি বা আলো বা শুভ’র। অন্ধকার বা অশুভ সবকিছুকে দূর করতেই এই আরাধনা। অমাবস্যা বা অন্ধকার অশুভ শক্তির প্রতীক। মা কালী দেবতা অশুভ দূর করার প্রতীক। পুজোর রাতে অশুভ অন্ধাকারকে দূর করতে তাই জ্বালানো হয় প্রদ্বীপ, মোমবাতি ও আলোর শিখা। করা হয় শক্তির উপাসনা। অনেক যায়গায় এই পুজোকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দ্বীপাবলি বা দিওয়ালী বলে থাকেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ জাকির হোসেন পিংকু, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ৩০-১০-১৬