ওদুদ এমপি’র হাতধরে আওয়ামী লীগে যোগদানের আগেই মাওলানা সোহরাবকে জামায়াত থেকে বহিস্কার !

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গেল শনিবার আওয়ামী লীগে যোগদান করা বহু আলোচিত জামায়াত নেতা মাওলানা সোহরাব আলীকে জামায়াত থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর মাওনানা সোহরাব আলীকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ হয়েছে ৫ অক্টোবর জামায়াতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামে। বহিস্কারের এক সপ্তাহের মাথায় তা প্রকাশ হওয়ায় নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নাশকতার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা একাধিক মামলার আসামী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সূত্রপাত হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া আর সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমালোচনার পর আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে বহিস্কারের সংবাদ।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবুজার গিফারীর বরাত দিয়ে ওই সংবাদে বলা হয়েছে মাওলানা সোহবার আলীকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বহিস্কার করা হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগে যোগদানের দু’দিন আগেই তাকে বহিস্কার করা হয়। তবে, আওয়ামী লীগে যোগদানকারী জামায়াত নেতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহিক কাফি, জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য আফরোজ জুলমাতের বিষয়ে কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি ওই সংবাদে।
দৈনিক সংগ্রামে ‘ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে জামায়াতের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবুজার গিফারী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও  সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব আলী জামায়াতের নিয়মশৃঙ্খলা ও নীতিসমূহের পরিপন্থি কাজ করায় এবং তার দ্বারা জামায়াতের নৈতিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় গত ইং ২৮/৯/১৬ তারিখে জেলার এক জরুরী  বৈঠকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের  ধারা-৫৫ এর উপধারা-২ অনুযায়ী তার সদস্য (রুকুনিয়াত) পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় এবং ধারা-৫৫ এর উপধারা-১ অনুযায়ী তাকে সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই আদেশ গত ২৮/৯/১৬ তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং তার কোন কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয় ’।
দৈনিক সংগ্রামে এই সংবাদ প্রকাশের পর মাওলানা সোহরাবকে নিয়ে আবারও আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৫-১০-১৬

,