শিবগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পবিবারের ত্রাণ বিতরণ শুরু, তবে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল

গত এক সপ্তাহের আকস্মিক বন্যায় শিবগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্থ পবিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ত্রাণ বিতরণও। তবে স্থানীয় বানভাসি মানুষরা বলছেন ত্রাণ একেবারেই কম।
বন্যা দূর্গত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।  পাকা ইউনিয়নের  কদমতুলি  গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আফজাল হোসেন বলেন, ‘ গতকাল সামান্য কিছু লোককে চাল দেয়া হয়েছে। তাও পরিমাণে ৫/৬ কেজি করে। আমাদের গ্রামের প্রায় ৩শ  পরিবার এখনো পানি বন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখানে হাহাকার লেগেই আছে’। দশরশিয়া গ্রামের মাসুদ রানা বলেন ‘দশ রশিয়া গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় থাকলেও এপর্যন্ত কোন তালিকা তৈরী হয়নি এবং কোন ত্রান আসেনি’। বিশ রশিয়া  গ্রামের  মামুন বলেন ‘এ গ্রামে প্রায় ৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ তবুও কোউ খোজই নেয়নি’।
দূর্লভপুর ইউনিয়নের আইয়ুব বিশ্বাসের গ্রামের মোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে সাদিকুল ইসলাম জানান, দুর্লভপুরের প্রায় ১৪টি  গ্রামে ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। সেতুলনায় ত্রাণ তৎপরতা নেই বললেই চলে। একই অভিযোগ মনাকষা, উজিরপুর, ছত্রাজিত ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের শত শত লোকের।
এদিকে পাকা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, পাকায় ত্রাণ হিসাবে গত ২৬ ও ২৭ আগষ্ট জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম ১ শ পরিবার ১ হাজার টাকা করে ও  ৩ শ পরিবারের মধ্যে ৩ মেট্রিক টন চাউল বিতরন  করেছেন। বর্তমানে আরো সাড়ে ৩ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ হয়েছে। তবে বরাদ্দকৃত ত্রানের পরিমান খুবই নগন্য বলে তিনি জানান। দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রাজিব রাজু জানান, এ ইউনিয়নে প্রায়  ৩ হাজার পরিবার ও ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ন পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত আড়াই মেট্রিক টন  চাউল ও নগদ দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে পানিবন্দি মানুষের মাঝে হাহাকার চলছে। ছত্রাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, প্রায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখনো কোন ত্রাণ দেয়া সম্ভব হয়নি  এবং কোন তালিকা তৈরী করিনি। মনাকষা ইউপি সচিব ইকবাল আব্বাসী জানান, মনাকষায় সব মিলিয়ে ৪ হাজার ২শ পবিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তালিকা তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে। মাত্র এক মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৮হজার ৪শ ৬০টি, সম্পর্ন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘরের সংখ্যা ৬শ,আংশিক ক্ষক্ষিগ্রস্থ বাড়িঘরের সংক্ষ্যা ১ হাজার ৪শ ১৫টি। গত কয়েকিদিনে নগদ ১লাখ টাকা ও প্রায় ৬/৭ ম্রেটিক টন চাউল বিতরন করা হয়েছে। বর্তমানে অরো ৪৭মেট্রিক টন চাউল ও নগদ দেড়লাখ টকা বরাদ্দ হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ৩১-০৮-১৬

,