বন্যা পরিস্থিতি’র অবনতি > পদ্মায় আরো ৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিদৎসীমা ছুইছুই করছে
ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, পদ্মা এখনও বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নি¤œাঞ্চলের আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা অববাহিকার ৮ থেকে ৯টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। শিবগঞ্জের পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, মনাকষা ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, দেবীনগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের আরো ব্যাপক এলাকায় নতুন করে পানি ঢুকেছে। চলতি বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে শিবগঞ্জের পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, সদরের নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়ন। এ সব ইউনিয়নের বিস্তৃণ ফসলী পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বন্যা কবলিত পাকা ইউনিয়নের কৃষক রইসুদ্দীন বলেন, ‘পাকা ইউনিয়নের প্রায় সব ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ফসল তারা কেটে তুলতে পারছেনা পানি ও সাপের ভয়ের কারণে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজদার রহমান জানান, চলতি বন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৫ হেক্টর আউস ধান এবং ৫০ হেক্টর শাকসবজি এবং শিবগঞ্জ উপজেলায় ৮০ হেক্টর আউস ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিবগঞ্জের পাকা ইউনিয়ন চরের মধ্যে হওয়ায় সেখানেই ফসলের বেশী ক্ষতি হয়েছে’।
বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোর পানিবন্দি মানুষরা বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। তবে, ৫ দিনের মাথায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বন্যা কবলিত পাকা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ত্রাণ তৎপরতা চালান।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মুলত নি¤œাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো বন্যা কবলিত হয়েছে। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যদের মাধ্যমে চাল ও নগদ টাকা দিয়ে সাহয্য শুরু করেছি। মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসন সবধরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শহিদুল ইসলাম জানান, ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার কারণে পদ্মায় ক’দিন আগে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি হলেও গত দু’দিন ধরে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মার পাকা পয়েন্টে রোববার সকালে ২২ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার লেবেলে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিনি জানান, পদ্মার প্রভাবে মহানন্দাতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। রোববার মহানন্দা ২০ দশমিক ৮৯ লেবেলে প্রাবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে।
তিনি আশা করেন, দু’ একদিনের মধ্যেই স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০৮-১৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা অববাহিকার ৮ থেকে ৯টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। শিবগঞ্জের পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, মনাকষা ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, দেবীনগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের আরো ব্যাপক এলাকায় নতুন করে পানি ঢুকেছে। চলতি বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে শিবগঞ্জের পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, সদরের নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়ন। এ সব ইউনিয়নের বিস্তৃণ ফসলী পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বন্যা কবলিত পাকা ইউনিয়নের কৃষক রইসুদ্দীন বলেন, ‘পাকা ইউনিয়নের প্রায় সব ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ফসল তারা কেটে তুলতে পারছেনা পানি ও সাপের ভয়ের কারণে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজদার রহমান জানান, চলতি বন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৫ হেক্টর আউস ধান এবং ৫০ হেক্টর শাকসবজি এবং শিবগঞ্জ উপজেলায় ৮০ হেক্টর আউস ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিবগঞ্জের পাকা ইউনিয়ন চরের মধ্যে হওয়ায় সেখানেই ফসলের বেশী ক্ষতি হয়েছে’।
বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোর পানিবন্দি মানুষরা বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। তবে, ৫ দিনের মাথায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বন্যা কবলিত পাকা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ত্রাণ তৎপরতা চালান।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মুলত নি¤œাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো বন্যা কবলিত হয়েছে। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যদের মাধ্যমে চাল ও নগদ টাকা দিয়ে সাহয্য শুরু করেছি। মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসন সবধরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শহিদুল ইসলাম জানান, ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার কারণে পদ্মায় ক’দিন আগে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি হলেও গত দু’দিন ধরে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মার পাকা পয়েন্টে রোববার সকালে ২২ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার লেবেলে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিনি জানান, পদ্মার প্রভাবে মহানন্দাতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। রোববার মহানন্দা ২০ দশমিক ৮৯ লেবেলে প্রাবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে।
তিনি আশা করেন, দু’ একদিনের মধ্যেই স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০৮-১৬