শ্যামলী হত্যার মুল আসামী মাইনুল অবশেষে সিআইডি পুলিশের হাতে গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, ২০১০ সালের ২৩ এপ্রিল বিয়ে হয় শহরের আলীনগর মুন্সিপাড়ার বাবলু আলীর মেয়ে শ্যামলী খাতুন (২২) এর সাথে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর বাদুড়তলার মোখলেশুর রহমানের ছেলে মাইনুল ইসলামের। বিয়ের পর শ্যামলীর গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে সিয়ামের বয়স সাড়ে ৩ বছর। ঘটনার সময় শ্যামলী ৪ মাসের অন্তস্বত্তা ছিলো বলেও জানা যায়। এরমধ্যেই গোপনে মাইনুল ইসলাম শিবগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর পারিবারিক কলহ শুরু হলে মাইনুল শ্যামলীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাবার কাছ থকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। গত ২৯ মে রাতে মাইনুল শ্যামলীকে শারিরিক নির্যাতন করার পর এক পর্যায়ে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের ষড়যন্ত্র করে শ্যামলীর লাশ ঘরের তীরে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে মাইনুল স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। এঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এঘটনায় সদর থানা পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে ইউডি মামলা গ্রহণ করে। প্রেক্ষিতে মৃত শ্যামলীর মা আলেয়া বেগম গত ৯ জুন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ‘ক’ অঞ্চলের আদালতে মাইনুল ইসলামসহ ৭জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত হত্যা মামলা গ্রহণের জন্য সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। সর্বশেষ শ্যামলীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে গত ১৯ জুলাই হত্যা মামলা রেকর্ড হয় সদর থানায়। থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হলেও আসামী গ্রেফতার হয়নি।
অবশেষে মামলার বাদী আলেয়া বেগমের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে গত ১৪ আগস্ট চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডি’র উপর।
রাজশাহী সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম হোমিসাইডাল স্কোয়ার্ড পরিদর্শক শাহিন আকন্দ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অভিযান পরিচালনা করে মইনুলকে গ্রেফতার করেন। মঙ্গলবারই মইনুলকে আদালতে সোপার্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ৩০-০৮-১৬