শিবগঞ্জ ইউএনও’র হাতে আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম রেজা চৌধুরী লাঞ্ছিত

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম রেজা চৌধুরী শিবগঞ্জ থানা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ইরতিজা আহসানের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিবগঞ্জের মনাকষায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর গাড়ীর লাইট ভাংচুরসহ তার সঙ্গে থাকা এক মুক্তিযোদ্ধার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে থাকা কাইয়ুম রেজা চৌধূরীর ম্যানেজারসহ ৭/৮ জনের এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের সাতরশিয়া কুমিরাদহ বিল দখল ও অবৈধভাবে বিলের মাছ ধরার ও চাঁদাবাজির  ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপ্েক্ষর বিরুদ্ধে  কাইয়ুম রেজা চৌধুরী গত বছরের ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ও চাাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসাকের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সেই অভিযোগ তদন্তের জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক জাদিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ইরতিজা আহসানসহ একটি টিম ঘটনাস্থল সাতরশিয়া কুমিড়াদহ যান। এসময় কাইয়ুম রেজা চৌধুরীও ঘটনাস্থলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, তদন্তকালে কাইয়ুম রেজা চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ইরতিজা আহসানের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, ‘আপনি মুঠো ফোন বা টেলিফোন রিসিভ না করায় আপনার সাথে যোগাযোগ কর সম্ভব হচ্ছে না’। এ কথা বলার সংগে সংগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ইরতিজা আহসান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং কাইয়ুম রেজা চৌধুরীকে গালিগালাজ করেন। অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাইয়ুম রেজা চৌধুরীকে বলেন, ‘তুই মুরব্বী না হলে তোকে এ মুর্হুতে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠাতাম’। এসময় কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর সঙ্গে থাকা মুক্তিযোদ্ধা খয়ের হোসেনকে মারপিট করে আহত করা হয় এবং গাড়ির পেছনের লাইট ভাঙ্গচুর করা হয়।
লাঞ্ছনার শিকার কাইয়ুম রেজা চৌধুরী বলেন, ‘একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা প্রশাসকের সামনেই অশোভনীয় আচরণ করায় আমি হতভম্ব হয়েছি। বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের পাশাপাশি আমার গাড়ির উপরও হামলা চালিয়েছে’।
এদিকে, এঘটনার পর এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসানের সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫-০৭-১৬

,