গোদাগাড়িতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবক নিহত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সৈয়দপুর চকপাড়া আহমেদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী দলের এক সদস্য গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর এলাকায় সোমবার গভীর রাতে গুলিতে নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জামাল উদ্দিন (২৫)। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিনগর লক্ষীপুর এলাকার তফজুলের ছেলে। জামাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটি্িুটের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘জামাল উদ্দিন জেএমবি সদস্য ছিলেন’।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বাগমারায় মসজিদের আত্মঘাতি বোমা হামলাকারী যুবক ছিলেন তারেক রহমান (২৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রুপনগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু সালেকের ছেলে। তার সহযোগী ছিলেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জামাল উদ্দিন। সোমবার রাত ১১টার দিকে বাবুডাইং এলাকা জামালকে গ্রেফতার করার পর তার স্বীকারোক্তি মতে জামাল ও তারেকের বাড়িতে পৃথকভাবে অভিযান চালানো হয়।
পরে, পুলিশ জামালকে নিয়ে ফরাদপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় জামালের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি  ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ক্রসফায়ারে জামাল উদ্দিন নিহত হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
গোদাগাড়ী থানার ওসি এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মসজিদে আত্মঘাতি বোমা হামলাকারী যুবক তারেক এবং তার সহযোগী জামাল উদ্দিন দুজনেই আগে শিবির করত। পরে তারা জেএমবি দলের সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
 
এদিকে, তার তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রূপনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তারেকের মা তসলিমা বেগমকে আটক করেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে জুমার নামাজ চলাকালীন বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সৈয়দপুর চকপাড়া আহমেদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় নিহত হোন বোমা বহনকারী তারেক রহমান। এ সময় আরও কয়েকজন মুসল্লি আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন, ওই মসজিদের মুসল্লি ময়েজ উদ্দিন (৪০), মুয়াজ্জীন সাহেব আলী (৩৬) ও নয়ন (১২)।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ ডেস্ক রির্পোট/ ০৭-০৬-১৬