হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলায় কারাগারে গেলেন সাবেক এমপি শাজাহান মিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শাজাহান মিয়াকে হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলায় রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমার্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আত্মসমার্পণ করে কারাগারে গেছেন বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলাম সাদির।
দুপুরে জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাজাহান মিয়া ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি শিবগঞ্জের কানসাট গোপালনগর মোড়ে নাশকতার ঘটনায় জমসেদ আলী হত্যাসহ তিনটি মামলার জামিন লাভের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমার্পণ করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিষ্ফোরক মামলায় জেলা ও দায়রা জজ এনামুল বারী জামিন না-মঞ্জুর করেন। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমসেদ হত্যাসহ অপর একটি নাশকতার মামলায় আত্মসমার্পণ করলে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম নাশকতার মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে, বিচারক জমসেদ হত্যা মামলায় জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, অধ্যাপক শাজাহান মিয়ার নামে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি একই দিনের ঘটনায় দায়ের তিন পৃথক পৃথক মামলায় তিনি জামিন লাভের জন্য আদালতে আত্মসমার্পণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ওই দিনের (৫ জানুয়ারির) দায়ের হওয়া তিনটি মামলা যার নম্বর ১১, ১২ ও ১৩। এরমধ্যে শিবগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমানের বাদিত্বে দায়ের ১১ নম্বর মামলার এজাহারে অধ্যাপক শাজাহান মিয়া ৮ নম্বর আসামী। ওই মামলায় ১শ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অপ্সাতনামা ২/৩ হাজার জনকে আসামী করা হয়।
জেলা বিএনপি’র সভাপতির আত্মসর্মাপণকে ঘিরে আদালত এলাকায় বিপুল বিএনপি নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আদালত থেকে তাকে জেলে নেয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন।
বিএনপি নেতার আত্ম সমার্পণকে ঘিরে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা করে দেশব্যাপি কালো পতাকা মিছিল কর্মসুচি নেয়। এ কর্মসুচিকে ঘিরে শিবগঞ্জে উপ্তত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ করে কানসাট গোপালনগর মোড়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা, ককটেল বোমাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে জামায়েত হয়। তাদের প্রতিহত করতে বিপুল সংখ্যা পুলিশ, বিজিবি সদস্যও গোপাল নগর মোড়ে জামায়েত। একপর্যায়ে উভয়ের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে জমসেদ আলী নিহত হওয়াসহ ভাঙ্গচুর ও ব্যাপক বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৫-০৬-১৬

,