ভোলাহাটে নির্বাচনে প্রার্থীরা মাঠে তুবুও আমেজ নেই ভোটারদের মাঝে

আসছে ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বেশ জোরেসোরে মাঠে তৎপরতা চালালেও সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন নির্বাচনী আমেজ নেই। তবে প্রশাসনের মতে সার্বিক পরিস্থিতি বেশ ভালো।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট ৪ টি ইউনিয়নে মোট ৭১ হাজার ৪৬৭ জন ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন ৪ ইউনিয়নের মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৪৮জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১শত ৪৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। আব্দুল খালেক (নৌকা), ইব্রহীম (ধানের শীষ), ইয়াজদানী জর্জ (আনারস, বিদ্রোহী বিএনপি), আলী হায়াদার ( চশমা, জামায়াত নেতা)। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাজাদি বিশ্বাস নির্বাচনী মাঠ থেকে সওে দাঁড়িয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ১৩জন ও সাধারণ সদস্য ৪৮জন।
গোহালবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এর মধ্যে ইয়াসিন আলী শাহ ( নৌকা), আব্দুল কাদের (ধানের শীষ), আব্দুর রশিদ (অটোরিক্সা), মোশাররফ হোসেন (চশমা ), নাসরিন আরা ( মোটরসাইকেল)। এখানেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন মাঠ থেকে সরে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন আলাউদ্দিন (আনারস)। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১০জন, সাধারণ সদস্য ৩৭জন।
দলদলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন  আনিসুর রহমান (নৌকা), মাজহারুল ইসলাম পতুল (ধানের শীষ), সুলতান আলী (চশমা)। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৫জন ও সাধারণ সদস্য ২৮জন।
জামবাড়ীয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫জন। এর মধ্যে পিয়ারুল ইসলাম (নৌকা), কামরুজ্জামান মিয়া মানিক (ধানের শীষ), কামরুজ্জামান বাবুল (মোটরসাইকেল, বিএনপি বিদ্রোহী), মোশফিকুর রহমান তারা (আনারস), জগলুল হক (চশমা, বিএনপি বিদ্রোহী)। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১০ জন ও সাধারণ সদস্য ৩৩জন।
নির্বাচনে প্রার্থীরা যেযার মত করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতবারের মত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন নির্বাচনি আমেজ নেই। চায়ের দোকানেও নির্বাচনী ‘ঝড়’ উঠেনি। স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা যে সময়টা জমজমাট রূপ লাভ করার সময়ে চলছে ধান কাটার ভরা মৌসুম। চার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ধান কাটা নিয়ে তাদের ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান কাটাতে ব্যস্ত কৃষকরা নির্বাচনী কান্ডে তেমনভাবে যুক্ত হতে পারছেননা।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, অন্যান্যবার প্রার্থীরা চায়ের দোকানে দোকানে নির্বাচনী তৎপরতা চালাতেন। এবার সেটার পরিমাণও কম। সে কারণে নির্বাচন নিয়ে চায়ের কাপে ‘ঝড়’ উঠছেনা।

তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আগামী দিনের জন প্রতিনিধি নির্বাচন করতে সাধারণ ভোটারদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মোঃ রফিক জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে যা করার দরকার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস সামাদ জানান, এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লংঘনের করার খবর পাওয়া যায়নি। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ০৩-০৫-১৬

,