শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটের ১৮ ইউনিয়নের মাত্র দু’টিতে জয়ের দেখা পেল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ৭ আর স্বতন্ত্রের আড়ালে জামায়াত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ব্যাপক পরাজয় ঘটেছে। দু’ উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মাত্র দু’টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে। বিএনপি জিতেছে ৭টিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে (ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী) ৮টিতে। একটিতে জয়ের পথে। স্বতন্ত্রের লেবাসে নির্বাচনী যুদ্ধে নামা জামায়াত জিতেছে ২টিতে।
শিবগঞ্জ উপজেলা ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে রাতে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ১৩টির। এতে আওয়ামী লীগ-২, বিএনপি- ৫, স্বতন্ত্র-৬। ঘোাষিত ফলাফল অনুযায়ী বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হচ্ছেন, শ্যামপুর ইউনিয়নে খাইরুল ইসলাম (বিএনপি) ১২,৩৭৩, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আসাদুজ্জামান ভোদন (নৌকা) ৭,৬৯৫ পেয়েছেন ভোট।
শাহবাজপুর ইউনিয়নে তোজাম্মেল হক (স্বতন্ত্র জামায়াত নেতা) ১৫,৮৭০, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজামুল হক রানা (নৌকা) পেয়েছেন ১৪,০১৪ ভোট।
মোবারকপুর ইউনিয়নে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ মিয়া (বিএনপি) ৯,৩৩৮, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কামাল উদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ৮,৬৪২ ভোট।
চককৃর্ত্তি ইউনিয়নে মোফাখারুল ইসলাম (স্বতন্ত্র জামায়াত নেতা) ৯,১৯৪,  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আনোয়ার হাসান আনু মিঞা (নৌকা) পেয়েছেন ৭,৫৩৪ ভোট।
মনাকষা ইউনিয়নে মীর্জা শাহাদাত হোসেন খুররম (আওয়ামী লীগ) ১৫,১৫০, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কামাল উদ্দিন (ধানের শীষ) পেযেছেন ১৩,৫৭১ ভোট।
বিনোদপুর ইউনিয়নে এনামুল হক (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ১০,৯৬৫, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী অধ্যক্ষ রুহুল আমিন (নৌকা) পেয়েছেন ৬,৯১৩ ভোট।
দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নে আতিকুল ইসলাম জুয়েল (বিএনপি) ৫,১৫৫, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী তোহরুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ৪,৫৬২ ভোট।
ধ্ইানগর ইউনিয়নে তাবারিয়া চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) ৭,৭৬৮, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এ.কে আসগার (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৭,২৩৭ ভোট।
দুর্লভপুর ইউনিয়নে আব্দুর রাজিব রাজু (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ৯,৩৮৮, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহা. গোলাম আজম আলী (মটরসাইকেল) পেয়েছেন ৮,৯৮৩ ভোট।
নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নে আশরাফুল হক (বিএনপি) ১২,৯৮৭, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোস্তাকুল ইসলাম পিন্টু (নৌকা) পেয়েছেন ১১,৮৫২ ভোট।
উজিরপুর ইউনিয়নে ফয়েজ উদ্দীন (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ২,৪৫৮,
ঘোড়পাখিয়া ইউনিয়নে ইসমাইল হোসেন (বিএনপি) ৩,১১২,  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি বিদ্রোহী নাইমুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ২,৮৯৯ ভোট।
ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে শামসুল হুদা (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ৪,২৯৮, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জামায়াত ুেনতা তফিকুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ৩,৪৩৬ ভোট।
পাকা ইউনিয়নে মজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ৪,৩৩৯, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবদুল মালেক মন্ডল (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৩,২৯৬ ভোট।

এদিকে, ভোলাহাটের ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। ৪টির একটিতেও তারা জিততে পারেননি। এখানে বিএনপি- ২, স্বতন্ত্র-২।
ভোলাহাট ইউনিয়নে ইয়াজদানী জর্জ (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী বিএনপি) ৫,৮৬৪, আওয়ামী লীগের আবদুল খালেক ৪,৩৯৫ ভোট।
গোহালবাড়ী ইউনিয়নে আব্দুল কাদের (বিএনপি) ৬,৮১৩, আওয়ামী লীগের ইয়াসিন আলী পেয়েছেন ৬,০৮১ ভোট।
দলদলী ইউনিয়নে মাজহারুল ইসলাম পুতুল (বিএনপি) ১১,৪৩৫, আওয়ামী লীগে আনিসুর রহমান পেয়েছেন ৫,৪৩৩ ভোট।
জামবাড়ীয়া ইউনিয়নে মোশফিকুর রহমান তারা (স্বতন্ত্র) ৪,০২১, বিএনপির কামরুজ্জামান মিয়া পেয়েছেন ২,১৭১ ভোট। ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৮-০৫-১৬

, , ,