প্রতিদিন দেড় টনেরও বেশী আম ঝরে পড়ছে ভোলাহাটে
আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে প্রচন্ড খরা আর তাপদাহে প্রতিদিন গড়ে দেড় টনেরও বেশী আম ঝরে পড়ায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনিয়ে আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকেরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচন্ড তাপদাহে আর লু-হাওয়ায় আমের বোঁঠা শুকিয়ে প্রচুর আম ঝরে পড়ছে। আম বাগানে গিয়ে মালিক ও ব্যসায়ীরা ঝরে পড়া আমের দৃশ্য দেখে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা জানান, গত বছর আমের ব্যবসা মন্দা হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছে। এবারও যে হারে আম ঝরে পড়ছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা চরম ভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। তারা জানান, আম বাগানে কীটনাশক, সারসহ বিভিন্ন প্রকার উপকরণ ব্যবহার করেও লাভের চেয়ে লোকশান গুনতে হলে হতাশ হওয়া ছাড়া তো আর কিছু থাকে না। এদিকে সরকার আম পাড়ার সময় সীমা বেঁধে দেয়াটাও বিপদের আরেক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ হিসেবে জানান, সরকার আম পাড়ার যে সময় সীমা বেঁধে দিয়েছেন তার পূর্বেই দাপদাহের কারণে পেকে যাবে আম। ফলে আম পাড়তে না পারলে গাছেই পেকে নষ্ট হবে সব আম। ফলে ব্যবসায়ীরা পড়বেন আর্থিক ক্ষতিরমুখে। অন্যদিকে আম বাজারজাত করতে গিয়ে সড়ক পথে পয়েন্টে পয়েন্টে পড়তে হয় চাঁদাবাজদের হুমকির মুখে। সব মিলিয়ে আম ব্যবসায়ী ও আম বাগান মালিকেরা এবার রয়েছেন চরম হতাশায়।
ভোলাহাটের আম ব্যবসায়ী জহির হোসেন জানান, প্রচন্ড আর প্রখড় তাপদাহে উপজেলায় তিনিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন গড়ে ১৬,০০০ হাজার কেজি আম কিনছেন এবং তা আচারসহ বিভিন্ন আমজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। ঝরে পড়া আম ক্রেতা মানিক জানায়, ভালো আমগুলো ২/৩ টাকা কেজি দরে কিনছেন। তিনি একাই দিনে ৪০/৫০ মণ আম কিনছেন বলে জানান।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ভোলাহাট উপজেলায় মোট ২২’শ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। তবে আম প্রকৃতিগত কারণে ঝরে পড়ে। এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে যে আম ঝরে যাচ্ছে এ ক্ষেত্রে শেষ রাত থেকে সকাল ৯/১০টার মধ্যে আম গাছে সেচ ও ঠান্ডা সময়ে পানি কিংবা কীটনাশক ¯েপ্র করতে পারেন আম চাষে সংশ্লিষ্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ৩০-০৪-১৬
আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচন্ড তাপদাহে আর লু-হাওয়ায় আমের বোঁঠা শুকিয়ে প্রচুর আম ঝরে পড়ছে। আম বাগানে গিয়ে মালিক ও ব্যসায়ীরা ঝরে পড়া আমের দৃশ্য দেখে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা জানান, গত বছর আমের ব্যবসা মন্দা হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছে। এবারও যে হারে আম ঝরে পড়ছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা চরম ভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। তারা জানান, আম বাগানে কীটনাশক, সারসহ বিভিন্ন প্রকার উপকরণ ব্যবহার করেও লাভের চেয়ে লোকশান গুনতে হলে হতাশ হওয়া ছাড়া তো আর কিছু থাকে না। এদিকে সরকার আম পাড়ার সময় সীমা বেঁধে দেয়াটাও বিপদের আরেক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ হিসেবে জানান, সরকার আম পাড়ার যে সময় সীমা বেঁধে দিয়েছেন তার পূর্বেই দাপদাহের কারণে পেকে যাবে আম। ফলে আম পাড়তে না পারলে গাছেই পেকে নষ্ট হবে সব আম। ফলে ব্যবসায়ীরা পড়বেন আর্থিক ক্ষতিরমুখে। অন্যদিকে আম বাজারজাত করতে গিয়ে সড়ক পথে পয়েন্টে পয়েন্টে পড়তে হয় চাঁদাবাজদের হুমকির মুখে। সব মিলিয়ে আম ব্যবসায়ী ও আম বাগান মালিকেরা এবার রয়েছেন চরম হতাশায়।
ভোলাহাটের আম ব্যবসায়ী জহির হোসেন জানান, প্রচন্ড আর প্রখড় তাপদাহে উপজেলায় তিনিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন গড়ে ১৬,০০০ হাজার কেজি আম কিনছেন এবং তা আচারসহ বিভিন্ন আমজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। ঝরে পড়া আম ক্রেতা মানিক জানায়, ভালো আমগুলো ২/৩ টাকা কেজি দরে কিনছেন। তিনি একাই দিনে ৪০/৫০ মণ আম কিনছেন বলে জানান।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ভোলাহাট উপজেলায় মোট ২২’শ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। তবে আম প্রকৃতিগত কারণে ঝরে পড়ে। এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে যে আম ঝরে যাচ্ছে এ ক্ষেত্রে শেষ রাত থেকে সকাল ৯/১০টার মধ্যে আম গাছে সেচ ও ঠান্ডা সময়ে পানি কিংবা কীটনাশক ¯েপ্র করতে পারেন আম চাষে সংশ্লিষ্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ৩০-০৪-১৬