করলা চাষে স্বাবলম্বী শিবগঞ্জের শিক্ষার্থী মুসফিক রায়হান রাজ

শিবগঞ্জে মুসফিক রায়হান রাজ নামে একজন কলেজ ছাত্র লেখাপড়ার পাশাপাশি করলা আবাদ করে লেখাপড়ার খরচ বাদেও নিজেকে স্বাবলম্বী হতে চলেছে।
মুসফিক রায়হান রাজের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের চৌকা খড়িয়াল গ্রামে। সে শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বি.এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পিতা  বেকার ও মা গৃহিনী।
করলা আবাদের জমিতে এ প্রতিবেদককে রাজ জানান, তার মা  মুরগী পালন করে  প্রায় ৩০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন। সেই ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মুসফিক রায়হান রাজ ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদীন চৌকা খড়িয়াল মাঠে বিনোদপুরের কালূ মেম্বারের নিকট হতে ২ বিঘা জমি বাৎসরিক ১১ হাজার টাকায় (বিঘা প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকা) বর্গা নিয়ে করলার আবাদ শুরু করেন। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। গত একমাসে করলা তুলা হয়েছে প্রায় ৪০ মণ। দিন দিন করলার ফলন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে জানায়, আগামী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই আরো প্রায় ৮০ থেকে ১শ মণ করলা পাওয়া যাবে। প্রতি মণ করলা গড়ে ৮শ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। তার লক্ষ্য এক মৌসুমে প্রায় সোয়া লাখ টাকার করলা বিক্রী করতে পাবে। তাতে খরচ বাদে আয় হবে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা।  সে আরো জানায় ফাল্গুন মাসের বৃষ্টিতে করলার জমির ক্ষতি না হলে আয় আরো বেশী হতো।
মুসফিক রায়হান রাজ তার অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমাদের দেশে চাকুরী খোঁজতে গিয়ে অনেকেই ১০/ ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে। কেউ পাচ্ছে, আবার কেউ প্রতারনায় পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি লেখাপাড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ শুরু করেছি  এবং ভবিষ্যতে প্রমাণ করবো শুধু চাকুরীই বেকার সমস্যার সমাধান নয়। তিনি আরো জানান, কোন কৃষি অফিসারের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই নিজে টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে ও পত্রিকার কৃষি বিষয়ক পাতা থেকে করলাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন সর্ম্পকে ধারণা লাভ করি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১৪-০৪-১৬

,