ইউপি নির্বাচন > সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১১টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী > ৪ ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রার্থী নেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ‘ভোটযুদ্ধে’ থাকা প্রার্থীদের লড়াই জমে উঠেছে। প্রতিদ্বন্দীতা করছেন ৫৪ চেয়ারম্যান, ৪৬১ সাধারন ও ১৬২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই জমজমাট রূপ লাভ করেছে নির্বাচন। প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকার প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঘুম হারাম কওে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বারঘরিয়া, মহারাজপুর, রানীহাটী, নারায়নপুর, সুন্দরপুর, বালিয়াডাঙ্গা, গোবরাতলা, দেবীনগর, ইসলামপুর, শাহজাহানপুর, ঝিলিম, চরবাগডাঙ্গা ও চরঅনুপনগর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে পদ্মা-মহনন্দার চরাঞ্চলের ইউনিয়ন রয়েছে ৭টি। চরাঞ্চলের ইউনিয়ন আলাতুলীর মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় ৪ জুন শেষ ধাপে সেখানে নির্বাচন হবে। ১৩ টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধাকলেও ৪ ইউনিয়ন চরবাগডাঙ্গা, মহারাজপর, নারায়নপুর ও সুন্দরপুরে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের কোন প্রার্থী নেই। তবে দুই প্রধান দলই বিদ্রোহী ভারাক্রান্ত। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ এর ১১ ইউনিয়নেই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। এর বাইরে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন ১ জন মহরাজপুরে নজরুল ইনলাম সোনা ও জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ১ জন চরবাগডাঙ্গায় কামরুল ইসলাম। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে জামায়াতের প্রার্থীও রয়েছেন। এই প্রথমবারের মত শহজাহানপুর থেকে মোসা. ফাতেমা ও ঝিলিম থেকে শিরিন আকতার নামের দুই নারী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম সোমবার জানান, তাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না নিরাপত্তা রক্ষায়। তবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছেন। এখন পর্যন্ত তেমন কোন নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গ বা বিশৃঙ্খলার ঘটনার কথা শোনা যায়নি বলে নির্বাচন অফিস সুত্র জানিয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে রির্টানিং কর্মকর্তা করা হয়েছে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ জাকির হোসেন পিংকু, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১১-০৪-১৬