ভারতীয় রপ্তানিকারকদের হুমকী > ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাথর আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে সব পণ্য রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে নিম্নমানের পাথর আমদানী না কররে  অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানি বন্ধ করা হুমকী দিয়ে আগামী ১৩ফেব্রয়ারী সময় বেধে দিয়েছে ।ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।  সোমবার সন্ধ্যায়  সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে এ চিঠি পাঠানো হয়। এদিকে সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে গত ৪ দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জানা গেছে, ভারত থেকে রপ্তানী কারকেরা সে সমস্ত পাথর রপ্তানী করে থেকে তা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং প্রতি ট্রাকে কমপক্ষে ২-৩ টন করে ড্রাস্ট আসে। এছাড়াও ভারতীয় রপ্তানী কারকেরা অযোক্তিক খরচ ও পাথরের মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। এই প্রতিবাদে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানী গ্রুপের পাথর বিষয় উপ-কমিটি গেল শনিবার থেকে প্রথমে ছোট পাথর ও পরে বোল্ডার পাথর আমদানী বন্ধ ঘোষণা করে। গত ৪ দিনও উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী কারকদের স্ব-স্ব দাবির প্রেক্ষিতে অনড় থাকায় পাথর আমদানী সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত সমাধান না হওয়ার আংশকা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রোববার ভারতীয় মহদীপুর এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন জরুরী বৈঠকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুকুমার সাহার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয় যদি পাথর রপ্তানী সম্পর্কে আলোচনার মধ্য দিয়ে কোন সমাধান না হয়। তাহলে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে যাবতীয় পণ্য সামগ্রীর রপ্তানী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের মহদীপুর স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশেনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভূপতি মন্ডল জানান, বাংলাদেশি আমদানীকারকেরা আমদানী বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ার পর মহদীপুর স্থল বন্দরে সোনামসজিদে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ৩ হাজার পাথর ভর্তি ট্রাক আটকা পড়েছে। এই সমস্ত আটকে পড়া ট্রাকে ক্ষতি পূরণ দিতে হচ্ছে। এছাড়া মহদীপুর বন্দরে আইন শৃংখলা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রপ্তানী কারক ও সিএন্ডএফদের। তিনি আরও জানান, অবিলম্বে উভয় দেশের আমদানী রপ্তানী কারকেরা আলোচনায় বসে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন। অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থল বন্দর আমদানী-রপ্তানী কারক গ্র“পের পাথর বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী সাহাবুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাথর আমদানী বন্ধ থাকলেও সরকারের ২টি বড় প্রজেক্ট পদ্মা সেতু ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন কাজের কোন বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ভারতীয় রপ্তানী কারকদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যা নিয়ে দ্রুত সমাধান হবে বলে জানান তিনি। অপর দিকে কাস্টমস দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানীকৃত পাথরের প্রতিটনের রাজস্ব ৯৫৭ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ট্রাক পাথর আমদানী হয়ে থাকে। সে হিসাবে গত ৩ দিনে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৯-০২-১৬

,