হাইকোর্টের আদেশে কারগার থেকে শপথ নিতে গেলেন নবনির্বাচিত মেয়র জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম
সূত্র জানিয়েছে, বিধিমোতাবেক শপথ গ্রহণের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার মুখে জামায়াত খুব শক্তভাবেই আইনী প্রক্রিয়ার স্মরণাপন্ন হয়। নির্ধারিত সময়ে শপথ গ্রহণ নিশ্চিত করতে তারা হাইকোর্টে রিট করেন। প্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয়। ওই আদেশটি ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের রেজিস্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে ইস্যু করেন। আদেশটি বহকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে এসে পৌছে।
চাঁপাইনবাবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলামসহ সংরক্ষিত আসন ৪ ও ৫ এর দু’ কাউন্সিলর আনোয়ারা খাতুন এবং শাকেরা খাতুন হাইকোর্টে তিনটি পৃথক রিট করেন। ওই রিটের আদেশের কপি বৃহস্পতিবার সকালে বাহক মারফত জেলা প্রশাসনের কাছে এসে পৌছে। এতে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাদিদের শপথ গ্রহনে ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। সেমোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই প্রস্তুত করে জেল সুপার চাঁপাইনবাবগঞ্জকে প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনিক নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেলে তাদের রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারী বুধবার হত্যা, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী হিসেবে জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে হাজতে পাঠায়। পরে শপথ গ্রহণের জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে তা নাকচ করা হয়।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেযর জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম ও জামায়াতের দু’ নেত্রীর শপথ গ্রহনের আয়োজন হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের আরেক কাউন্সিলর মোসলেমা খাতুন মুসি এবং রহনপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা তারেক আহম্মেদের শপথ গ্রহণ অনিশ্চিত থেকে গেছে। সূত্র জানিয়েছে, শপথ গ্রহণের লক্ষে তারা হাইকোর্টে কোন রিট করেনি। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, নজরুল ইসলাম, আনোয়রা খাতুন ও শাকেরা খাতুনের বাইরে অন্যা কারো আদেশের কপি জেলা প্রশাসনে আসেনি।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন’২০০৯ এর ৩৩(১)(খ) ধারা অনুযায়ী শপথ গ্রহণের (ঐ আইনের ২৭ ধারা অনুযায়ী) সময়সীমা অতিক্রমের পর শপথ না নেয়া মেয়র ও কাউন্সিলর পদ শূন্য বলে বিবেচিত হবে এবং ঐ সব পদে ৯০ দিনের মধ্যে পূন:নির্বাচন করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০১-১৬